বর্তমানে খোরাসান ইরানের উত্তরপূর্বের একটি প্রদেশ মাত্র হলেও, সপ্তম শতাব্দী থেকে শুরু করে প্রায় সমগ্র মধ্যযুগ জুড়ে এর বিস্তৃতি ছিল বহুগুণ বেশি। আজকের ইরানের খোরাসান প্রদেশটি এই ঐতিহাসিক অঞ্চলের পশ্চিম অংশের একটি অঞ্চল মাত্র।

আরও পড়ুনঃ সত্যিকারের খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনী কারা?
খোরাসানের বর্তমান ভৌগোলিক অবস্থান
খোরাসান একসময় অনেক বড় একটি অঞ্চল ছিল, যা এখন তিনটি দেশে ভাগ হয়ে গেছে—ইরান, আফগানিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান।
- ইরানের খোরাসান প্রদেশ
ইরানের উত্তর-পূর্ব অংশে খোরাসান অঞ্চলটি এখন তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে:- উত্তর খোরাসান
- দক্ষিণ খোরাসান
- রাযাভি খোরাসান
- আফগানিস্তান অংশ
খোরাসানের প্রাচীন এলাকার মধ্যে আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশও ছিল। এই অঞ্চল এক সময় সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। - তুর্কমেনিস্তানের অংশ
খোরাসানের উত্তরের কিছু অংশ এখন তুর্কমেনিস্তানে পড়ে। এই জায়গাগুলো ঐতিহাসিকভাবে বাণিজ্য ও সামরিক কার্যকলাপের জন্য পরিচিত ছিল।
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য
খোরাসান এলাকায় রয়েছে পাহাড় (যেমন কোপেট দাগ), উর্বর উপত্যকা ও মরুভূমি। এখানকার আবহাওয়া সাধারণত শীতল ও শুষ্ক, যা কৃষি ও পশুপালনের জন্য ভালো।
🗺️ খোরাসানের ইতিহাসের চার ধাপ
🔸 ১. আচেমেনিড সাম্রাজ্য (৫৫০–৩৩০ খ্রিস্টপূর্ব)
📌 সিল্ক রুটে বাণিজ্য
📌 পারস্য সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল
🔸 ২. ইসলামী যুগ
📚 শিক্ষা ও জ্ঞানের কেন্দ্র
🏫 বহু মাদ্রাসা ও গ্রন্থাগার স্থাপ
🔸 ৩. মধ্যযুগ
🏛️ সাফাভি ও তৈমুরিদ শাসন
🎨 শিল্প, স্থাপত্য ও বাণিজ্যের উন্নতি
🔸 ৪. আধুনিক যুগ
🌍 আজ ইরান, আফগানিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানে বিভক্ত
📖 ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব এখনো অটুট