আল-গাফূর (মার্জনাকারী, অতীব ক্ষমাশীল), আল-গাফফার (অতি ক্ষমাশীল, পরম ক্ষমাশীল)
আল-গাফূর তিনিই যিনি সর্বদা গুনাহ মাফ করেন এবং যারাই তাওবা করেন তাদের তাওবা কবুল করেন। হাদীসে এসেছে, আল্লাহ বলবেন,
«يَا ابْنَ آدَمَ إِنَّكَ لَوْ أَتَيْتَنِي بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطَايَا ثُمَّ لَقِيتَنِي لَا تُشْرِكُ بِي شَيْئًا لَأَتَيْتُكَ بِقُرَابِهَا مَغْفِرَةً».
“হে আদম সন্তান, যদি তোমরা কেউ পৃথিবী সমপরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার কাছে আস অত:পর আমার সাথে কাউকে শরীক না করে মিলিত হও তাহলে আমি পৃথিবী সমপরিমাণ গুনাহও ক্ষমা করে দিব।”[1]
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿إِنَّ رَبَّكَ وَٰسِعُ ٱلۡمَغۡفِرَةِ٣٢﴾ [النجم : ٣٢]
“নিশ্চয় তোমার রব ক্ষমার ব্যাপারে উদার।” [সূরা আন-নাজম, আয়াত: ৩২]
আল্লাহ তাওবা, ইসতিগফার, ঈমান, ভালো আমল, তাঁর ইবাদতে ইহসান, তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া, তাঁর দয়া কামনায় শক্তিশালী আশা করা ও আল্লাহর ব্যাপারে ভালো ধারণা করা ইত্যাদি যেগুলোকে আল্লাহর মাগফিরাত লাভের মাধ্যম বানিয়েছেন সেগুলো মাধ্যমে তাঁর ক্ষমা পাওয়ার উপায় তিনি বর্ণনা করেছেন।[2]
[1] মুসনাদ আহমাদ, ৫/১৪৭; তিরমিযী, ৫/৫৪৮, কিতাব, দাওয়াত, বাব, তাওবা ও ইসতিগফারের ফযিলত, হাদীস নং ৩৫৪০; ইবন মাজাহ, ২/১২৫৫, কিতাবুল আদাব, বাব, ফদলিল আমাল; দারামী, ২/২৩০, কিতাবুর রিকাক, বাব, ইযা তাকাররাবাল আবদু ইলাল্লাহ, আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস। ইমাম তিরমিযী রহ. বলেছেন, হাদীসটি গরীব, এ সনদ ব্যতীত এর অন্য কোন সনদ জানা নেই। আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, দেখুন, সিলসিলাতুল সহীহাহ, ১/২০০।
[2] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৭৩-৭৪।