আল-হালীম (মহা সহনশীল, মহা ধৈর্যশীল, প্রশ্রয়দাতা)[1]

আল-হালীম (মহা সহনশীল, মহা ধৈর্যশীল, প্রশ্রয়দাতা) হলেন যার রয়েছে পূর্ণ ধৈর্য। কাফির, ফাসিক ও অবাধ্য সকলের ব্যাপারেই যিনি ধৈর্য ব্যাপক ও প্রশস্ত করে রেখেছেন এবং তিনি তাদেরকে দুনিয়াতে শাস্তি প্রদান থেকে বিরত রয়েছেন এভাবে যে, তাদের মধ্যকার অক্ষম ব্যক্তির উপর অন্যের যুলুম করা বৈধ নয়। তিনি তাদেরকে তিনি সময় ও সুযোগ দিয়েছেন যাতে তারা তাওবা করতে পারে। তবে তারা অতি বাড়াবাড়ি করলে, সীমালঙ্ঘন চালিয়ে যেতে থাকলে এবং তাঁর সমীপে ফিরে না আসলে তিনি তাদেরকে আর সুযোগ দেন না।[2]

আল-হালীম হলেন তিনি যিনি সৃষ্টিকুলের উপর তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকশ্য সব ধরণের নি‘আমতের কথা অবগত থাকা সত্ত্বেও তাদের অবাধ্যতা ও অধিক ভুল-ভ্রান্তির উপর তিনি ধৈর্যধারণ করেন। ফলে তিনি তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে তাদের গুনাহ ও অবাধ্যতার ব্যাপারে সহনশীল। তিনি তাদেরকে তিরস্কার ও সতর্ক করেন যাতে তারা তাওবা করে, তাদেরকে তিনি সুযোগ দেন যাতে তারা ফিরে আসে।[3]

আল্লাহ তা‘আলা সহনশীল ও ক্ষমাশীল। তাঁর রয়েছে পূর্ণ ধৈর্য ও সহনশীলতা এবং ব্যাপক ক্ষমাশীলতা। এ মহান গুণ দুটি গুনাহগারের গুনাহ ও যালিমের যুলুমের সাথে সম্পৃক্ত। কেননা অপরাধের শাস্তি তাৎক্ষণিক হওয়া কামনা করে, আর আল্লাহর সহনশীলতা অপরাধীকে সুযোগ দেওয়া ও তাৎক্ষণিক শাস্তি না দেওয়া কামনা করে যাতে তারা তাওবা করতে পারে। আল্লাহর ক্ষমা তাদের গুনাহকে ক্ষমা করে দেওয়া কামনা করে, বিশেষ করে যখন ইসতিগফার, তাওবা, ঈমান ও ভালো আমল ইত্যাদি ক্ষমার উপকরণ পাওয়া যায়। তাঁর ধৈর্য আসমান ও জমিন সর্বত্রে ব্যাপৃত। তাঁর ক্ষমা না থাকলে তিনি জমিনে একটি প্রাণীও ছেড়ে দিতেন না। তিনি ক্ষমাশীল, বান্দাকে ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। তিনি তাদের থেকে সেসব কাজ পছন্দ করেন যা তাদের তাঁর ক্ষমা, সন্তুষ্টি ও ইহসান অর্জনের উপায়।

আল্লাহর পূর্ণ ক্ষমার বহিঃপ্রকাশ হলো যে ব্যক্তি নিজের উপর বারবার যুলুম করেছে, আল্লাহর অবাধ্যতা করেছে সে ব্যক্তি তাওবা করলে তিনি তার ছোট-বড় সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন। তিনি ইসলামকে ব্যক্তির পূর্বের সমস্ত গুনাহ মার্জনকারী করেছেন। এমনিভাবে তাওবাও পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়।[4]


[1] এ নামের দলিল আল্লাহর বাণী,

﴿وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ فَٱحۡذَرُوهُۚ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٞ٢٣٥﴾ [البقرة: ٢٣٥]

“আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা জানেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৩৫]

[2] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৫৫-৫৬।

[3] আত-তাফসীর, পৃ. ৫/৬৩০।

[4] আল-হাক্কুল ওয়াদিহ আল-মুবীন, পৃ. ৫৬।

Jahirul.Islam

Share
Published by
Jahirul.Islam

Recent Posts

How Much Paint to Paint a Car?

If you're planning to give your car a new look, one of your first questions…

18 hours ago

How Much Does It Cost to Build a Barndominium in 2025

If you're thinking about building a barndominium in 2025, you're not alone. These barn-style homes…

6 days ago

How Long Does It Take to Charge a Car Battery

A dead or drained car battery can be a frustrating issue, especially when you're in…

1 week ago

How Can I Plan a Trip to PR by Myself

Dreaming of a tropical escape but want to explore on your own terms? If you’ve…

1 week ago

How to Teach My Four Year Old to Share

Teaching your child to share is one of the most valuable lessons they’ll learn in…

1 week ago

How to Dispose of Old Gasoline Safely and Legally

Old gasoline sitting in your garage or shed can pose serious risks to your health,…

1 week ago