বা’র্ধক্যের অবসর সময়ে নিরলস পরিশ্রম করে পুরো কুরআন হাতে লিখে সফল হয়েছেন ৭৫ বছরের বৃদ্ধা নারী সুয়াদ আব্দুল কাদের। কারো সাহায্য ছাড়াই চার বছরের অক্লা’ন্ত পরিশ্রমে পুরো কুরআন হাতে লিখে এ কৃ’তিত্ব অর্জন করেন এ নারীমিসরের গণমাধ্যম দেশটির তরুণ-তরুণীদের জন্য এ নারীকে ‘অনুপ্রেরণাদানকারী’ নারীর মর্যাদা দেয়ার দাবি তুলেছে।সুয়াদ আব্দুল কাদের মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে বসবাসকারী একজন নারী। যখন তিনি পবিত্র কুরআন হাতে লেখার কাজ শুরু করেন তখন তার বয়স ৭১ বছর। এ বয়সে তিনি পুরো কুরআন হাতে লেখার কাজ শুরু করেন।সুয়াদ ভাবনা যে, জীবনের শেষ মুহূর্তে তিনি ভালো কিছু স্মরণীয় কাজ করে সময় অতিবাহিত করবেন, যা তার জন্য আল্লাহর কাছে মুক্তি ও নাজাতের ওসিলা হবে। তা ভেবেই তিনি প্রতিদিন কুরআন লেখার কাজে নিয়মিত ৬-৮ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন।সুয়াদ যে সময়টিতে কুরআন লিখতেন, এ সময়টিই তার কাছে সেরা। কারণ সে সময়টি ছিল তার কাছে সেরা অন্যায়-অ’পরাধমুক্ত সময়। ধর্মের প্রতি তার এ অনুভূতি থেকেই অসামান্য কাজ করে সফল হয়েছেন সুয়াদ আব্দুল কাদের।
বৃদ্ধা সুয়াদের নাতি মুহাম্মাদ ওসামা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তার দাদি ৭১ বছর বয়সে কুরআন লেখা শুরু করেন। আলহামদুলিল্লা! ৭৫ বছর বয়সে এসে কারো সাহায্য ছাড়া নিরলস পরিশ্রমে তিনি হাতে পুরো কুরআন লেখা সম্পন্ন করেছেন।’ওসামা আরও বলেন, ‘মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ যে, তার দাদির প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা করার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই তিনি পুরো কুরআন লেখার কাজটি হাতে লিখেছেন। এটি মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ।’জীবনের শেষ সময়ে বৃদ্ধা নারী সুয়াদের এ কাজ দুনিয়ার সব নারীর জন্য অনুপ্রেরণা। মিসরের গণমাধ্যমগুলো ৭৫ বছরের সুয়াদকে সরকারের পক্ষ থেকে দেশটির তরুণ-তরুণীদের জন্য ‘অনুপ্রেরণাদানকারী’ নারীর মর্যাদা দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।