কোন লোক তার ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর নিজের প্রস্তাব যেন না দেয়।


১১৩৫। আবু বাকর ইবনু আবু জাহম (রহঃ) বলেন, ফাতিমা বিনতু কাইসের নিকট আমি ও আবু সালামা ইবনু আবদুর রাহমান গেলাম। কিন্তু সে তার জন্য থাকার ও ভরণপোষণের কোন ব্যবস্থা করেনি তবে আমার জন্য তার চাচাতো ভাইয়ের নিকট পাঁচ কাফীয যব ও পাঁচ কাফীয আটা মোট দশ কাফীযের ব্যবস্থা করেছে।

ফাতিমা (রাঃ) বলেন, আমি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে তাকে অবহিত করলাম। তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “সে ঠিকই করেছে”। তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন উম্মু শারীকের বাড়ীতে ইদ্দাত পালনের জন্য।

আবার তিনি আমাকে বললেনঃ মুহাজিরদের চলাচল খুব বেশী হয়ে থাকে উম্মু শারীকের বাড়ীতে। অতএব, তুমি ইদ্দাত পালন কর উম্মু মাকতুমের ছেলের বাড়ীতে। তুমি প্রয়োজনে কাপড় পরিবর্তন করলে সে তোমাকে দেখতে। পাবে না। কোন লোক যদি তোমাকে তোমার ইদ্দাত পূর্ণ হওয়ার পর বিয়ের প্রস্তাব দেয় তবে তুমি আমার নিকট এসো।”

আমার ইদ্দাত শেষ হবার পর আবু জাহম ও মুআবিয়া উভয়ে আমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, আমি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে তাকে জানালাম। তিনি বললেনঃ মুআবিয়া দরিদ্র লোক, তার তেমন কোন ধন-সম্পদ নেই। আর স্ত্রীদের প্রতি আবু জাহম খুবই কঠোর। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, তারপর আমার নিকট উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ) প্রস্তাব করেন এবং আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে বিয়ে দেন। আল্লাহ তা’আলা আমাকে অশেষ কল্যাণ ও বারকাত দান করেছেন উসামার মাধ্যমে।

— সহীহ, ইরওয়া (৬/২০৯), সহীহ আবূ দাউদ (১৯৭৬), মুসলিম

এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি আবু জাহমের সূত্রে সুফিয়ান সাওরীও বর্ণনা করেছেন। তাতে এ কথাও আছেঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ “তুমি উসামাকে বিয়ে কর।” আবু ঈসা বলেন, আমি এই হাদীসটি নিম্নোক্ত সূত্রেও পেয়েছিঃ মাহমুদ ওয়াকী হতে, তিনি সুফিয়ান হতে, তিনি আবূ বাকর ইবনু আবূ জাহম হতে।

— সহীহ, দেখুন পূর্বের হাদীস, ইরওয়া (১৮৬৪)

باب مَا جَاءَ أَنْ لاَ يَخْطُبَ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الْجَهْمِ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَلَى فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ فَحَدَّثَتْنَا أَنَّ زَوْجَهَا طَلَّقَهَا ثَلاَثًا وَلَمْ يَجْعَلْ لَهَا سُكْنَى وَلاَ نَفَقَةً ‏.‏ قَالَتْ وَوَضَعَ لِي عَشَرَةَ أَقْفِزَةٍ عِنْدَ ابْنِ عَمٍّ لَهُ خَمْسَةً شَعِيرًا وَخَمْسَةً بُرًّا ‏.‏ قَالَتْ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ ‏.‏ قَالَتْ فَقَالَ ‏”‏ صَدَقَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَأَمَرَنِي أَنْ أَعْتَدَّ فِي بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ ثُمَّ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ إِنَّ بَيْتَ أُمِّ شَرِيكٍ بَيْتٌ يَغْشَاهُ الْمُهَاجِرُونَ وَلَكِنِ اعْتَدِّي فِي بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَعَسَى أَنْ تُلْقِي ثِيَابَكِ فَلاَ يَرَاكِ فَإِذَا انْقَضَتْ عِدَّتُكِ فَجَاءَ أَحَدٌ يَخْطُبُكِ فَآذِنِينِي ‏”‏ ‏.‏ فَلَمَّا انْقَضَتْ عِدَّتِي خَطَبَنِي أَبُو جَهْمٍ وَمُعَاوِيَةُ ‏.‏ قَالَتْ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ‏”‏ أَمَّا مُعَاوِيَةُ فَرَجُلٌ لاَ مَالَ لَهُ وَأَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَرَجُلٌ شَدِيدٌ عَلَى النِّسَاءِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَتْ فَخَطَبَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَتَزَوَّجَنِي فَبَارَكَ اللَّهُ لِي فِي أُسَامَةَ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الْجَهْمِ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ وَزَادَ فِيهِ فَقَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ انْكِحِي أُسَامَةَ ‏”‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الْجَهْمِ بِهَذَا ‏.‏