একটি মুসলিম মেয়েকে খৃষ্টানরা ধরে নিয়ে প্রহার করছিল, আর মেয়েটি আকাশের দিকে চেয়ে বলছিলো, হে আল্লাহ মুসলিম জাহানের খলিফাহ মুতাসিম আর আমি কাফেরদের নির্যাতনের শিকার, হে আল্লাহ আমাকে এখান থেকে মুক্তির জন্য তুমি মুতাসিম প্রেরন করো। কাফেরদের সরদার মুসলিম মেয়েটির কথা শুনে অট্রহাসী দিয়ে বললো, হে মেয়ে মুতাসিম এখান থেকে অনেক দুরে, এখানে আসতে হলে তাকে উন্নতমানের ঘোড়া লাগবে এবং অনেক দিন সময় লাগবে।
অপর দিকে মুসলিম মেয়েটিকে খৃষ্টান সিপাহীরা যখন দ্বরে নিয়ে যায়। তখন ঘটনাক্ষমে একজন মুসলিম তা দেখে ফেলে। মুসলিম লোকটি খুব দ্রুত এসে এই ব্যাপারটি আমিরুল মুমিনিনকে বললো। খবর শুনা মাত্রই মুতাসিম বিল্লাহ একাই একটি ঘোড়া নিয়ে সে দিকে দৌড় শুরু করলেন। অপর দিকে মুসলিম সেনারাও তার পিছনে দৌড়াচ্ছে কিন্তু কেও কিছুই জানেনা এই ব্যপারে, শুধু খলিফার পিছনে দৌড়াচ্ছেই। এভাবে যখন তিনি স্টানদের এলাকায় প্রবেশ করলেন এবং নিজেই শত্রুর গায়ে আক্রমণ করলেন।
তখন তার মুসলিম বাহিনির সেনাদের বুজে আসলো ব্যাপারটি। ঘটনাটি বুঝার পরে সম্মিলিত ভাবে মুসলিমরা শত্রুদেরকে আক্রমণ করেন এবং সমস্ত খ্রিষ্টানদের এলাকা দখল করে নেন। এবং মুসলিম মেয়েটিকে খৃষ্টানদের কবল থেকে উদ্ধার করেন, আল্লাহু আকবার। একটি কথা স্বরণ রাখা উচিৎ যে, এই মুতাসিম বিল্লাহ ছিলেন একজন মুর্খ আমির অর্থাৎ তার দ্বীনের ব্যপারে এত জ্ঞান ছিলনা।
কিন্তু আল্লাহকে এত ভয় ছিল যে, একজন মুসলিম মেয়ের, কাফেরদের দ্বারা গ্রেফতারীর কথা জেনেই কাওকে কোন কিছু না বলে একা একা মুসলিম মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ছুটে চললেন, আল্লাহু আকবার। এইছিল মুসলিমদের ইতিহাস এবং মুসলিম খলিফাদের চিত্র। কিন্তু আজ হাজার মা ও শিশু কাফের দের নির্যাতনে নিস্পেসিত তাদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে আসছে তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য কেও নেই। হে আল্লাহ আমাদেরকে নির্যাতিত মুসলিমদের সাহায্য করার তাওফিক দাও, এবং জিহাদের জন্য প্রস্তুত হওয়ার তাওফিক দান করো, আমিন।