মুসলিমরা তাদের ধর্ম, ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও বড়বড় মুসলিম নেতাদের পূর্ব ঐতিহ্যের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কারণে আজ অপমাণিত পদদলিত মথিত হচ্ছে। কারণ যে জাতি নিজের ইতিহাসকে ভুলে যায়, সে জাতির বীরত্ব, কৃতিত্ব ও মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকে না- যা জাতিকে স্বাধীনতা ও বীর্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত করবে। ফলে সে জাতির নাম ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে যায় যেমন পারস্যের কবি শেখ সাদী বলেন,তোমরা অতীতের লোকের সুনামকে নষ্ট করো না, তাহলে তোমারও সুনাম বিদ্যমান থাকবে। মুসলিম জাতির নবী রাসুলগণের পর যাদের অবদান সবচেয়ে বেশী এবং যাদের পথ সবচেয়ে অনুসরণীয় তারা হলেন আল্লাহর রাসূল (সা)-এর সাহাবীগণ (রা)। আল্লাহ তা’আলা ঐ সমস্ত সাহাবীগণকে রাসুল (সা)-এর পরামর্শদাতা ও উপদেষ্টা নিধারণ করে তাঁদের সম্মান আরও বর্ধিত করেছেন ।
আল্লাহ তাআলা তাঁদের সচ্চরিত্র সম্পর্কে তাঁর বাণী অবতীর্ণ করে তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করেছেন : ‘মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারী, সিজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকে। এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইনজীলে তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি চারাগাছের মত, যে তার কচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে, অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কাণ্ডের ওপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। যাতে তিনি তাদের দ্বারা কাফিরদেরকে ক্রোধান্বিত করতে পারেন। তাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহাপ্রতিদানের ওয়াদা করেছেন।’ [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত : ২৯] আল্লাহ তাআলা তাদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেন।আল্লাহ বলেন : ‘মুহাজির ও আনছারগণের মধ্যে অগ্রবর্তী সাহাবীগণ এবং কল্যাণকর্মের মাধ্যমে তাঁদের অনুসারীগণের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তাঁরাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন’ [আত-তাওবাহ ১০০]
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,‘এই সম্পদ নিঃস্ব মুহাজিরগণের জন্য ও যাদেরকে নিজেদের ঘর-বাড়ি ও ধন-সম্পত্তি থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। অথচ এরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টির অন্বেষণ করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে সাহায্য করেন। এরাই তো সত্যবাদী। আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদীনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ঈমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদেরকে ভালোবাসে। আর মুহাজরিদেরকে যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোনো ঈর্ষা অনুভব করে না। এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ [সূরা আল-হাশর, আয়াত : ০৮-০৯]
সাহাবীদের প্রশংসায় রাসুল (সা) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে তারাই সব চাইতে নেক লোক যাদের মাঝে আমি প্রেরিত হয়েছি।অন্য বর্ণনায়, রাসুল (সা) বলেছেন: সবচাইতে সেরা মানব আমার সাহাবাগণ।অন্য স্থানে বলেছেন : সমস্ত গোত্রের মধ্যে আমার (বনু হাশেম) গোত্র সর্বশ্রেষ্ঠ। এ বর্ণনায় শেষের দিকে সাহাবাগণের প্রতি ভালোবাসাকে ঈমানের চিহ্ন হিসেবে অভিহিত করেছেন।আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘তোমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছাহাবীদের গালাগাল করো না। কেননা তাদের এক মুহূর্তের (ইবাদতের) মর্যাদা তোমাদের প্রত্যেকের জীবনের আমলের চেয়ে বেশি।’ [ইবন মাজা : ১৬২; আহমাদ বিন হাম্বল, ফাযাইলুস ছাহাবা : ১৫]
রাসুল (সা) তাদেরকে গালমন্দ করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন। আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ছাহাবীকে গাল দেবে তার ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা সকল মানুষের অভিশাপ। আল্লাহ তার নফল বা ফরয কিছুই কবুল করবেন না।’ [তাবারানী : ২১০৮]রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘তোমরা আমার ছাহাবীদের গালমন্দ করো না। সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ। যদি তোমাদের কেউ উহুদ পরিমাণ স্বর্ণও আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তবে তা তাদের এক মুদ বা তার অর্ধেকরও সমকক্ষ হতে পারবে না।’ [বুখারী : ৩৬৭৩; মুসলিম : ৬৬৫১]
প্রকাশ থাকে যে, হাদীসে উল্লেখিত এক মুদ সমান তিনপোয়া। সামগ্রিক বিচারে সাহাবরা সকলে অন্য সকল উম্মত অপেক্ষা উত্তম। তবে সাহাবারা নিজেরা কিন্তু সকলে একই স্তরের নন। বরং কেউ কেউ মর্যাদায় অন্যদের চেয়ে উত্তম। তাদের নিজেদের মদ্যে মধ্যে মর্যাদার দিক তেকে বিভিন্ন শ্রেণী-বিন্যাস ও স্তর রয়েছে। নিম্নে তাদের ক্রমধারা প্রদত্ত হলো :
সাহাবাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন চার খলিফা।
- আবূ বকর (রা)
- উমার (রা)
- উসমান (রা)
- আলী (রা)
এদের পরবর্তী স্তরে আছেন অবশিষ্ট আশারায়ে মুবাশশারাগণ। যারা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশ সাহাবী বলে পরিচিত। তাদের সম্পূর্ণ তালিকা হলো :
- আবূ বাকর সিদ্দীক (রা)
- উমার বিন খাত্তাব (রা)
- উসমান বিন আফফান (রা)
- আলী বিন আবী তালীব (রা)
- আবূ উবাইদাহ বিন জাররাহ (রা)
- সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস (রা)
- আবদুর রহমান বিন আওফ (রা)
- যুবাইর বিন আওম (রা)
- তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রা)
- সাঈদ বিন যায়দ (রা)
এমনিভাবে মুহাজির সাহাবীবৃন্দ আনসারদের চেয়ে উত্তম। বদর যুদ্ধে ও বাইআতে রিদওয়ানে অংশগ্রহণকারীরা অন্যদের চেয়ে উত্তম। অনুরুপভাবে মক্কা বিজয়ের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ ও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সাহাবরে চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন : তোমাদের কি হল ? তোমরা আল্লাহর পথে কেনো ব্যয় করো না ? অথচ আকাশমন্ডলি ও পৃথিবীর মালিকানা তো আল্লাহরই। তোমাদের মধ্যে যার মক্কা বিয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জিহাদ করেছে, তারা এবং পরবর্তীরা সমান নয়। এরা মর্যাদায় তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যারা পরে ব্যয় করেছে ও জিহাদ করেছে। তবে আল্লাহ উভয়ের কল্যাণেল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। [সুরা আল-হাদীদ, আয়াত নং-১০]
সাহাবাদের সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়ালা জামায়াতের আক্বীদা হচ্ছে : তাদের ব্যাপারে উম্মতের অন্তর এবং জিহবা (বাকশক্তি) সম্পূর্ণ পরিষ্কার ও নিরাপদ থাকবে। আল্লাহ তাআলা এ প্রসঙ্গে তাদের মানষিকতা সম্পর্কে বলেন : ‘এবং যারা তাদের পরে এসেছে, তারা বলে: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভ্রাতাবৃন্দকে ক্ষমা কর। এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে প্রতিপালক! আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়। [সূরা আল-হাশর, আয়াত নং-১০]
রাসূল (সা) এর এই দশজন সাহাবীগণ সম্পর্কে হাদীসে সহীহ ও দুর্বল উভয় প্রকার সনদে অনেক হাদীস এসেছে। তাদের মর্যাদা সম্পর্কে রাসূল (সা) বলেন, আবু বাকর জান্নাতী, উমার জান্নাতী, উসমান জান্নাতী, আলী জান্নাতী,তালহা জান্নাতী, যুবাইর জান্নাতী, আব্দুর রহমান জান্নাতী,সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস জান্নাতী, সাঈদ ইবনে যায়েদ জান্নতী এবং আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা)। (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭৩৫)। উমার (রা) বলেন, কেউই ঐ ব্যক্তিদের ছাড়া খিলাফাতের হকদার নয়, যাদের প্রতি রাসূল (সা) তার মৃত্যুকাল পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন। অত:পর ‘উমার (রা) তাদের নাম উচ্চারণ করতে লাগলেন, ‘উসমান,’আলী, তালহা, যুবাইর, সা’দ এবং আবদুর রহমান সবাই জান্নাতী। ( বুখারী, মিশকাত সোলেমানীয়া প্রকাশনী হা/৫৭২৬)।
মোল্লা আলী কারী তার প্রসিদ্ধ ভাষ্যগ্রন্থ মিরকাতে এই হাদীসে আবূ উবাইদাহ (রাযি) ও সাঈদ বিন যায়দের নাম উল্লেখ না করার কারণ সম্পর্কে বলেন যে, আবূ উবাইদাহ (রা) পূর্বেই ইন্তিকাল করেছিলেন। সাঈদ বিন যায়দ সম্পর্কে বলেন যে, তিনি তার ভগ্নিপতি হওয়ার কারণে তার নাম উল্লেখ করেন নি। আনাস (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বড় রহমওয়ালা আবূ বাকর (রা), আল্লাহর হুকুম পালনে উমার (রা) অদ্বিতীয়, সবচেয়ে লজ্জাশীল উসমান, ফর বিষয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ যায়দ বিন সাবিত, সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ কারী উবাই বিন কা’ব, হালাল হারাম বিষয়ে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মু’য়ায বিন জাবাল, প্রত্যেক উম্মাতের জন্য একজন করে আমানতদার থাকে, আমার উম্মাতের আমানতদার আবূ উবায়দাহ (রা)। মা’মার কাতাদাহ হতে বর্ণনা করেন, সবচেয়ে বড় বিচারক ‘আলী (রা)। ( আহমাদ,তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭৩৬)।
আব্দুল্লাহ বিন উমার (রা) বলেন, আমাদের তিনজন কুরাইশীর চেহারা অতি উজ্জল, তাদের চরিত্রও খুব ভাল, হক প্রতিষ্ঠায় তাদের অন্তর অত্যন্ত মজবুত। তোমার সঙ্গে কথা বলার সময় তারা মিথ্যা বলে না এবং তারাও তোমাকে মিথ্যুক মনে করে না। তারা হলেন আবূ বাকর সিদ্দীক (রা), আবূ উবায়দাহ (রা) এবং ‘উসমান (রা)। যুবাইন বিন বাক্কার (রহ) বলেন, আমি কিছু সংখ্যক জ্ঞানী লোকের নিকট শুনেছি সাহাবাগণের মধ্যে বড় বক্তা আবূ বকর ও আলী (রা)। সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস ছিলেন আল্লাহর পথে প্রথম তীর নিক্ষেপকারী। তিনি বলেন, আমিই আরবদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যে আল্লাহর পথে তীর নিক্ষেপ করেছি। (মুত্তাফাকুন আলাইহি, মিশকাত হা/৫৭৩০)।
তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রা) সম্পর্কে হাদীস: যুবাইর (রা) বলেন, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসূলে কারীম (রা)-এর গায়ে লৌহ বর্ম ছিল। শত্রু সৈন্যদের অবস্থা দেখার জন্য তিনি একখানা পাথরের ওপর ওঠতে চাইলেন, কিন্তু বর্মের ভারি ওজনের দরুন উঠতে পারছিলেন না। তখন তালহা (রা) রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নীচে বসে গেলেন। এমনকি রাসূল (সা) তাঁর উপরে ভর করে পাথরটির ওপর ওঠলেন ।বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি রাসূল (সা)-কে বলতে শুনেছি, তালহা নিজের জন্যে জান্নাত ওয়াজিব করে নিয়েছে। (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭৩৭)। অন্য হাদীসে তালহাকে জীবন্ত শহীদ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৭৩৮) সা’দ বিন আবু ওয়াক্কাস ছিলেন রাসুল (সা)-এর দূর সম্পর্কের মামা। জাবির (রা) বলেন, একদা সা’দ রাসূল (সা)-এর সামনে উপস্থিত হলেন। তখন রাসুল (সা) তার প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, ইনি হলেন, আমার মামা, অতএব কারও যদি এমন মামা থেকে থাকেন, তবে সে আমাকে দেখাক। (তিরমিযী,মিশকাত হা/৫৭৪৩)।
ইমাম তিরমিযী বলেছেন, সা’দ ছিলেন যোহরা খান্দানের লোক আর রাসুল (সা)-এর মাতাও ছিলেন বনী যোহরার কন্যা। এ হিসেবে তিনি সাদকে বলেছেন, ইনি আমার মামা। উম্মে সালামা (রা) বলেন, আমি রাসুল (সা)-কে তাঁর স্ত্রীদেরকে বলতে শুনেছি, আমার ইন্তেকালের পর যে ব্যক্তি তোমাদেরকে অঞ্জলি ভরে দান করবে, সে ঈমানদার এবং নেককার। হে আল্লাহ! তুমি আব্দুর রহমান বিন আওফকে জান্নাতের সালাসাবিল থেকে পান করাও । (মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত হা/৫৭৪৭)। জাবির (রা) বলেন, রাসুল (সা) আহযাবের যুদ্ধের সময় বললেন, এমন কে আছে যে শত্রুদলের তথ্য এনে আমাকে দিতে পারে ? তখন হযরত যুবাইর (রা) বললেন, আমি। অত:পর রাসূল (সা) বললেন, প্রত্যেক নবীর হাওয়ারি থাকে। নিশ্চয়ই যুবাইর আমার হাওয়ারী। ( মুত্তাফাকুন আলাইহি, হা/৫৭২৭)।
ইমাম সুয়ুতী হতে বর্ণিত, আয়িশা সিদ্দীকাকে একজন জিজ্ঞেস করলেন রাসূল (সা) প্রতিনিধি নিয়োগ করলে কাকে করতেন ? মু’মিন জননী বললেন, আবূ বাকরকে, তারপর জিজ্ঞেস করলেন আবূ বাকরের পর কাকে ? বললেন ‘উমারকে; পুনরায় জিজ্ঞেস করা হলো তারপর কাকে প্রতিনিধি নির্বাচন করতেন ? বললেন, আবূ উবায়দাহ বিন জাররাহ (রা)। ( মুসলিম, মিশকাত হা/৫৭৩২)। সাঈদ বিন মুসাইয়্যিব বলেন, আবূ বকর, উমার, আলী, তালহা, যুবাইর, সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস, আব্দুর রহমান বিন আওফ এবং সাঈদ বিন যায়েদ লড়াইয়ের ময়দানে রাসূল (সা)-এর সামনে প্রথম সারিতে থাকতেন এব্ং সালাতের মধ্যে রাসূলের পিছনেই থাকতেন।
আল্লাহ আমাদেরকে তাঁদের অনুসৃত পথ অনুসরণ করার তাওফিক দিন।