দারুল হার্‌ব বা দারুল ইসলামে কোন মুসলিম কর্তৃক দারুল হারবে বসবাসকারী অমুসলিমকে ওয়াকিল বানানো বৈধ।


২১৫৪। আবদুল আযীয ইব্‌ন আবদুল্লাহ (রহঃ) … আবদুর রহমান ইব্‌ন আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমাইয়া ইব্‌ন খালফের সঙ্গে এ মর্মে একটা চুক্তিনামা করলাম যে, সে মক্কায় আমার মাল-সামান হিফাযত করবে আর আমি মদিনায় তার মাল-সামান হিফাযত করব। যখন আমি চুক্তিনামায় আমার নামের শেষে রাহমান’ শব্দটি উল্লেখ করলাম তখন সে বলল, আমি রাহমানকে চিনি না। জাহেলী যুগে তোমার যে নাম ছিল সেটা লিখ। তখন আমি তাতে আবদু আম্‌র লিখে দিলাম।

বদর যুদ্ধের দিন যখন লোকজন ঘুমিয়ে পড়ল তখন আমি উমাইয়াকে রক্ষা করার জন্য একটি পাহাড়ের দিকে গেলাম। বিলাল (রাঃ) তাঁকে দেখে ফেললেন। তিনি দৌড়ে গিয়ে আনসারীদের এক মজলিশে বললেন, এই যে উমাইয়া ইব্‌ন খাল্‌ফ। যদি উমাইয়া বেঁচে যায়, তবে আমার বেঁচে থাকায় লাভ নেই। তখন আনসারীদের এক দল তার সাথে আমাদের পিছে পিছে ছুটল। যখন আমার আশংকা হল যে, তারা আমাদের নিকট এসে পড়বে, তখন আমি উমাইয়ার পুত্রকে তাদের জন্য পিছনে রেখে এলাম, যাতে তাদের দৃষ্টি তার উপর পড়ে। তারা তাকে হত্যা করল। তারপরও তারা ক্ষান্ত হল না, তারা আমাদের পিছু ধাওয়া করল।

উমাইয়া ছিল স্থুলদেহী। যখন আনসারীরা আমাদের কাছে পৌঁছে গেল, তখন আমি তাকে বললাম, বসে পড়। সে বসে পড়ল। আমি তাকে বাঁচানোর জন্য আমার দেহখানা তাকে আড়াল করে রাখলাম। কিন্তু তারা আমার নীচে দিয়ে তরবারি ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলল। তাদের একজনের তরবারির আঘাত আমার পায়েও লাগল। রাবী বলেন, ইব্‌ন আউফ (রাঃ) তাঁর পায়ের সে আঘাত আমাদেরকে দেখাতেন। আবূ আবদুল্লাহ‌ (রহঃ) বলেন, ইউসুফ (রহঃ) সালিহ্‌ (রহঃ) থেকে এবং ইবরাহীম (রহঃ) তার পিতা থেকে রিওয়ায়াত শুনেছেন।

باب إِذَا وَكَّلَ الْمُسْلِمُ حَرْبِيًّا فِي دَارِ الْحَرْبِ أَوْ فِي دَارِ الإِسْلاَمِ، جَازَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي يُوسُفُ بْنُ الْمَاجِشُونِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَاتَبْتُ أُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ كِتَابًا بِأَنْ يَحْفَظَنِي فِي صَاغِيَتِي بِمَكَّةَ، وَأَحْفَظَهُ فِي صَاغِيَتِهِ بِالْمَدِينَةِ، فَلَمَّا ذَكَرْتُ الرَّحْمَنَ قَالَ لاَ أَعْرِفُ الرَّحْمَنَ، كَاتِبْنِي بِاسْمِكَ الَّذِي كَانَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ‏.‏ فَكَاتَبْتُهُ عَبْدُ عَمْرٍو فَلَمَّا كَانَ فِي يَوْمِ بَدْرٍ خَرَجْتُ إِلَى جَبَلٍ لأُحْرِزَهُ حِينَ نَامَ النَّاسُ فَأَبْصَرَهُ بِلاَلٌ فَخَرَجَ حَتَّى وَقَفَ عَلَى مَجْلِسٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ أُمَيَّةُ بْنُ خَلَفٍ، لاَ نَجَوْتُ إِنْ نَجَا أُمَيَّةُ‏.‏ فَخَرَجَ مَعَهُ فَرِيقٌ مِنَ الأَنْصَارِ فِي آثَارِنَا، فَلَمَّا خَشِيتُ أَنْ يَلْحَقُونَا خَلَّفْتُ لَهُمُ ابْنَهُ، لأَشْغَلَهُمْ فَقَتَلُوهُ ثُمَّ أَبَوْا حَتَّى يَتْبَعُونَا، وَكَانَ رَجُلاً ثَقِيلاً، فَلَمَّا أَدْرَكُونَا قُلْتُ لَهُ ابْرُكْ‏.‏ فَبَرَكَ، فَأَلْقَيْتُ عَلَيْهِ نَفْسِي لأَمْنَعَهُ، فَتَخَلَّلُوهُ بِالسُّيُوفِ مِنْ تَحْتِي، حَتَّى قَتَلُوهُ، وَأَصَابَ أَحَدُهُمْ رِجْلِي بِسَيْفِهِ، وَكَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ يُرِينَا ذَلِكَ الأَثَرَ فِي ظَهْرِ قَدَمِهِ‏.‏
قَالَ أَبُو عَبْد اللَّهِ سَمِعَ يُوسُفُ صَالِحًا وَإِبْرَاهِيمُ أَبَاهُ