জায়নামাজের দাড়িয়ে নামাজ শুরুর পূর্বই এই দোয়া পড়তে হয়
বাংলা উচ্চরন – ইন্নি ওযাজ্জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাজি, ফাত্বরস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বঅ হানি-ফাওঁ ওয়ামা-আনা মিনাল মুশরিকী-ন।
অর্থ হল : নিশ্চই আমি তারই দিকে মুখ করলাম, যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন এবং বাস্তবিকই আমি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত নই।
নামাজের ইচ্ছা করাই হচ্ছে নামাজের নিয়াত করা।মুখে উচ্চরণ করা জরুরী নয়, তবে মুস্তাহাব।
তাকবীরে তাহরীমা-আল্লাহু আক বার, অর্থ -আল্লাহ মহান।
হাত বাধার পর এই দোয়া পড়তে হয়
উচ্চরণ : সুবহা-নাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহাম দিকা ওয়াতাবারঅ কাস্ মুকা ওয়া তা’আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলা-হা গাইরুকা ।
অর্থ হে আল্লাহ ! আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষনা করছি এবং আপনার মহিমা বর্ণনা করছি। আপনার নাম বরকতময়, আপনার মাহাত্ম্য সর্বোচ্চ এবং আপনি ভিন্ন কেহই ইবাদতের যোগ্য নয়।
উচ্চরণ – আউযুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।
অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।
উচ্চরন: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
অর্থ: পরম দাতা ও দয়ালূ আল্লাহর নামে শুরু করছি।
উচ্চরণ : সুবহা-না রব্ বি ইঃয়াল আ’জ্বীম।
অর্থ: মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহাত্মতা ঘোষনা করছি।
(রুকু থেকে দাড়ানোর সময় পড়তে হয় )
উচ্চরণ সামি আল্লা হুলিয়াম হামিদাহ,
অর্থ: প্রশংসাকারীর প্রশংসা আল্লাহ শোনেন।
রুকু থেকে দাড়িয়ে পড়তে হয়
উচ্চরণ : রাব্বানা লাকাল হামদ ।
অর্থ -হে আমার প্রভু,সমস্ত প্রশংসা আপনারই।
উচ্চরণ ঃ সবহা-না রাব্বিয়াল আ’লা।
অর্থ : আমার প্রতিপালক যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ, তারই পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
উচ্চরণ ঃ আল্লাহ মমাগ ফিরলী ওয়ার হামনি ওয়ার যুক্কনী
অর্থ : হে আল্লাহ,আমাকে ক্ষমা করুন,আমাকে রহমত করুন,আমাকে রিজিক দিন।
[ হানীফি মাযহাবে এই দোয়া পড়া হয় না, কেই যদি হানীফি মাযহাব এর হয়ে থাকেন তাহলে এই সময় এক তসবী পড়তে যে সময় লাগে, সেই সময় পর্যন্ত বিরতি দিয়ে পুনঃরায় সেজদায় যাওয়া ]
উচ্চরণ ঃ আত্তাহিয়্যাতু লিল্লা-হি,ওয়াছ ছালা-ওয়াতু,ওয়াত-তাইয়্যিবা তু,আচ্ছালামু আ’লাইকা,আইয়্যুহান নাবিয়্যু,ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ,আচ্ছালামু আলাইনা,ওয়া আ’লা ইবাদিল্লা হিছ-ছা লিহীন। আশহাদু আল লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু,ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মদান আব্দুহু ওযা রাসুলুহু।
উচ্চরণ ঃ আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লাইতা আ’লা ইব্রহীমা ওয়া আ’লা আ-লি ইব্রহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজী-দ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আ’লা আ’লি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা আ’লা ইব্রহীমা ওয়া আ’লা আ’লি ইব্রহীমা ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।
উচ্চরণ ঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী জ্বলামতু নাফসী জুলমান কাছীরও ওয়ালা ইয়াগফিরু যুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগ ফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনী ইন্নকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম।
বিতরের নামাজের পর তিত্বীয় রাকায়াতে সূরা ফাতিহা ও অন্য কিরআত পড়ার পর এই দোয়া পড়তে হয়
উচ্চরণ ঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতা’ঈনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা, ওয়া নু’মিনু বিকা ওয়া না তা ওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনি আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশকুরুকা,ওয়ালা নাকফুরুকা,ওয়া নাখ লা,ওয়া নাত রুকু মাইয়্যাফ জুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়ালাকা নুছাল্লি ওয়া নাসজুদু ওয়া ইলাইকা নাস’আ,ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা আযাবাকা ইন্না আযা-বাকা বিল কুফ্ফা-রি মুল হিক।
প্রত্যেক ওয়াক্ত ফরজ নামাজের ছালাম ফিরাইয়া নিম্নোক্ত দোয়া ও দরুদ শরীফ পড়তে হয়
* তিন বার : আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ,
• লা-ইলাহা ইল্লাহ ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর,– এক বার
• নবীদেরকে সালাম দিতে হয় 1) আচ্ছালাতু আচ্ছালামু আলাইকা ইয়া ছাইয়েদী ইয়া রাছুলাল্লাহ।
2) আচ্ছালাতু আচ্ছালামু আলাইকা ইয়া ছাইয়েদী ইয়া নবীয়্যাল্লাহ।
3) আচ্ছালাতু আচ্ছালামু আলাইকা ইয়া ছাইয়েদী ইয়া হাবীবাল্লাহ।
4) ওয়ালা আ’লেকা ওয়াআছহাবেকা ইয়া হাবীবাল্লাহ।
• ছুবহানাল্লাহ –তেত্রিশবার, আলহামদু লিল্লাহ— তেত্রিশবার, আল্লাহু আক্বার —- তেত্রিশবার।
• এসতেগফার ঃ তিনবার
আছতাগফিরুল্লাহাল্লাজী লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কায়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহে।
— ছোবহানাল্লাহে ওয়া বিহামদিহি ছোবহানাল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম ওয়া বিহামদিহি আছতাগফিরুল্লাহ।
• লা-ইলাহা ইল্লাহ ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর ছুবহানাল্লাহী ওয়াল আলহাদুলিল্লাহী ওয়া লা-ইলাহা-ইল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। –একবার
• ছুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী ওয়া ছুবহানাল্লাহিল আযীম —একবার
• লা হাওলা ওলা কুআতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিউল আযীম — একবার
• দরুদ শরীফ
আল্লাহুম্মা ছল্লে আলা ছাইয়েদীনা মুহাম্মদিন ওয়াআলা আলে ছাইয়েদেনা মুহাম্মাদিন ওযাবারিক ওয়াছাল্লিম।
• জিকির
1) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ (একশত বার)
2) ইল্লাল্লাহ (একশত বার)
3) আল্লাহু (একশত বার)
• আয়াতুল কুরসী ঃ একবার
উচ্চরণ ঃ আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া, আল হাইয়ুল কাইয়ুম,লা-তাখুযুহু ছিনাতুউ-ওয়ালা-নাউম,লাহু-মা-ফিচ্চামাতি ওয়ামা-ফিল আরদি; মান যাল্লাযী-ইয়ামফাউ ইন্দাহু-ইল্লা-বিইয নিহি,ইয়ালামু মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহী-তুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহী,ইল্লা-বিমা-শা-আ, ওয়াছআ কুরছিয়ুহুচ্ছামা-ওয়াতি,ওয়াল আরদা, ওয়ালা ইয়াউ-দুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়ুল আযীম।
• প্রত্যেক সালাতের পর একবার, সূরা ইখলাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাছ
• অন্যান্য ব্যক্তিগত,কোরান ও হাদিস থেকে দোয়া করা।
• সালাত শেষে যে সকল দুআ ও জিকির হাদীস দ্বারা প্রামানিত
মোনাযাতে কি কি দোয়া করবেন ঃ–
• নিজের গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করবেন।
• গুনাহ থেকে বেছে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• আল্লাহর অনুগত বান্দা হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• সুন্নাহ মেনে চলা সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• নিজের হেদায়েতের জন্য দোয়া করবেন।
• ইসলামের উপর টিকে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• মোনাফেকি থেকে মুক্ত থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• নিজের পরিবারবর্গের জন্য দোয়া করবেন।
• পিতামাতার জন্য দোয়া করবেন।
• সন্তান সস্ততির জন্য দোয়া করবেন।
• সন্তান সস্ততির স্বামী-স্ত্রী নিজের জন্য নয়ন তৃপ্তিকর হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• সমস্ত মুসলিম উমমাহর জন্য দোয়া করবেন।
• ছেলে মেয়েদের ইসলামী শিক্ষা দেওয়া সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• ছেলে মেযেরা য়াতে ইসলামের উপর থাকে সেজন্য দোয়া করবেন।
• আত্নীয় স্বজনদের জন্য দোয়া করবেন।
• যারা আপনার কাছে দোয়া চেয়েছে তাদের জন্য দোয়া করবেন।
• যে সমস্ত আত্মীয় স্বজন মারা গেছে তাদের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন।
• ইসলামের পথে থাকা সহজ জন্য দোয়া করবেন।
• ইমলামের সঠিক পথে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• ইসলামের সম্প্রসারণের জন্য দোয়া করবেন।
• ইসলামের সম্প্রসারণে নিজের সামিল হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• ইসলামের জন্য বুককে সম্প্রসারণ করার জন্য দোয়া করবেন।
• আপনার প্রয়োজন পুরনের জন্য দোয়া করবেন।
• রোগমুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
• হালাল রিজিক সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• হারাম কাজ থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• সহজে রিণ পরিশোধ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• কাফেরদের উতপীড়ন থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া করবেন।
• নিজেকে অন্যের উপর বোঝা স্বরুপ না হওয়ার দোয়া করবেন।
• অন্যের কাছে অপদস্ত না হওয়ার দোয়া করবেন।
• বদ নজর থেকে বাচার জন্য দোয়া করবেন।
• বিপদ,বলা মছিবত থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• বিদাত থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• শিরক থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• লোক দেখানো ইবাদত থেকে মুক্ত থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• ঈমান বৃদ্ধির জন্য দোয়া করবেন।
• সকল অবস্থায় খাটি ঈমানদার হয়ে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• ঈমানী মৃত্যুর জন্য দোয়া করবেন।
• বদ অভ্যাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• জান্নাতুল ফিরদাউস এর জন্য দোয়া করবেন।
• জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
• কবরের আজাব থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
• সকাল বিকাল জিকির করা সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• প্রতিদিন কোরান তিলওয়াত করা সহজ হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• নবীজীর শাফায়াত নসীব হওয়ার জন্য দোয়া করবেন।
• দজ্জালের ফিতনা থেকে বেচে থাকার জন্য দোয়া করবেন।
• সকল রকম ফিতনা থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবেন।
• মনে যাতে মুমিনদের প্রতি হিংসা উতপাদন না হয় সে জন্য দোয়া করবেন।
যাদের দোয়া কবুল হয়…………
• মজলুম ও নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া
মজলুমের দোয়া এবং বদ দোয়া দুটোই আল্লাহর কাছে কবুল হবার সম্ভাবনা শতভাগ।
রাসুলুল্লাহ সা: মুয়াজকে বলেছেন, মজলুমের দোয়া থেকে সবসময় সতর্ক থেকো, কেননা মজলুমের দোয়া ও আল্লাহর মধ্যে কোন পর্দা বা আশ্রয় থাকে না। ( সহীহ বুখারী )
• মুসাফিরের দোয়া
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তিনটি দোয়া আল্লাহ দ্বারা ফিরিয়ে দেয়া হয়না। সন্তানের জন্য পিতামাতার দোয়া,রোজাদার ব্যক্তির দোয়া, মুসাফিরের দোয়া.. ( বায়হাকি, তিরমিজি )
• সন্তানের জন্য পিতামাতার দোয়া ঃ
• রোজাদা ব্যক্তির দোয়া ঃ
অনুপস্থিত মুসলিম ভাই বা বোনের জন্য অন্তর থেকে উৎসরিত দোয়া, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন , এমন কোন বিশ্বাসী বান্দা নেই, যে তার অনুপস্থিত কোন ভাইয়ের জন্য দোয়া করে আর ফেরেশতারা বলে না তোমার জন্যও তা হোক।
• রোজদার ব্যক্তির ইফতারের সময়কার দোয়া ঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া কখনও আল্লাহর দ্বারা ফিরিয়ে দেয়া হয়না।যখন রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করে (অন্য বর্ণনায় এসেছে, রোজাদার ব্যক্তি যতক্ষণ ইফতার না করে,) ন্যায়পরায়ণ শাসক, নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া। (আহমাদ, তিরমিজি )
• অসুস্থ্য ব্যক্তিকে দেখতে যাবার পর সেই ব্যক্তির দোয়া ঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমরা কোন অসুস্থ্য ব্যক্তিকে দেখতে যাও, তখন ভালো কথা বলো
( ভালো কিছু চাও), কেন্না তোমরা তখন যাই বলো, তার সাথে সাথে ফেরেশতারা আমিন বলে। (মুসলিম)
প্রার্থনাকারী যা থেকে দূরে থাকবেন ঃ
• আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে দুআ করা
• মৃত ব্যক্তির কাছে দুআ করা, তার কাছে নিজের প্রযোজন পেশ করা, বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য তাদের মাযারে ধর্না দেওয়া, তাদের কাছে তাওয়াজ্জুহ লাভের আশা করা, তাদের কবরে যেযে দুআ করা হল মারাত্মক সীমালংঘন অর্ন্তভুক্ত।
** দুআয় সীমালংঘন করা –
• উচ্চস্বরে বা চিৎকার করে দুআ করা
• দুআয শিরক করা যেমন – 1) বিদআতী পনথায় দুআ করা। 2) নিজের মৃত্যু কামনা করে দুআ করা। 3) আখিরাতের শাস্তি দুনিয়াতে কামনা করা।
• আল্লাহর রহমতকে সীমিত করার প্রার্থনা
• নিজের, পরিবারের বা সম্পদের বিরুদ্ধে দুআ করা।
• ছন্দ ও সুর সহযোগে দুআ করা।
নামাজ : মাসবুকের নামাজের বিবরণ।
মাসবুক কে?
জামাতে নামায শুরু হবার পর কোন ব্যক্তি যদি ইমামের সাথে কোন রাকাত পড়তে না পারে (বিলম্বে মসজিদে পৌছায় দরুন বা অন্য যে কোন কারণে) তবে সেই ব্যক্তি শরীয়তের ভাষায় মাসবুক । কোন রাকাতের রুকু পেলেই সেই রাকাত পেয়েছে বলে গণ্য হবে।
মাসবুকের নামাযের নিয়মঃ
1)ইমামের সাথে সে সালাম ফিরাবে না।ইমাম প্রথম সালাম সম্পুর্ণ করার পর সে দাড়িয়ে যাবে।
2)এরপর মাসবুক তার নামাযের যতটুকু বাকি আছে তা সম্পূর্ন করে তাশাহুদ,দরুদ,দুআ মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে সাধারণ ভাবে নামায শেষ করবে।
3)কিরাআত পড়ার ব্যাপারে মাসবুক তার যে কয় রাকাত বাকি আছে তা অনুসরণ করবে। এক রাকাত বাকি থাকলে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়বে। দুই রাকাত বাকি থাকলে উভয় রাকাতে সূলা ফাতিহা ও অন্য সূরা মিলিয়ে পড়বে। তিন রাকাত বাকি থাকলে প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অপর সূরা মিলাবে কিনতু তৃতীয় ছুটে যাওয়া রাকাতে কেবল সূরা ফাতিহা পড়বে।
4)বৈঠকের ব্যাপারে মাসবুক ইমামসহ যে কয় রাকাত নামায পড়েছে তা হিসেব করে বৈঠকে যাবে। প্রতি জোড় রাকাত শেষে বৈঠকে বসতে হয়। তাই যে কেবল এক রাকাত পেল ইমামের সাথে সে ইমামের নামায শেষ করার পর দাড়িয়ে নিজে এক রাকাত পড়ে সেজদা সম্পন্ন করার পর বসে তাশাহুদ পড়বে কারণ এটা তার নামাযের দ্বিতীয় রাকাত । এরপর সাধারণ ভাবে নামায শেষ করবে ।
যে সহজ (১০ দশটি) আযকার যিকির প্রতিদিন করলে মৃত্যুর পর জান্নাত ।
(১) প্রতিদিন ১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়।[সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩]
(২) ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ’। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]
(৩) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সর্বোত্তম যিকর। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]
(৪) ‘সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর’ এই কালিমাগুলি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী (সঃ) বলেনঃ পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়। [ সহীহ মুসলিম -৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২]
(৫) যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগীরা) গুনাহ থাকলে ও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। [সহীহ আল-বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭১]
(৬) নবী (সঃ) বলেনঃ ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহী সুবহানাল্লিল আযীম’ এই কালীমাগুলি জিহ্বায় উচ্চারনে সহজ , মীযানের পাল্লায় ভারী ,দয়াময় আল্লাহর নিকট প্রিয় । [সহিহ আল- বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭২]
(৭) যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আযীমি ওয়াবি হামদিহী’ পাঠ করবে প্রতিবারে তার জন্য জান্নাতে একটি করে (জান্নাতী) খেজুর গাছ রোপন করা হবে । [আত-তিরমিযী-৫/৫১১,আল-হাকীম-১/৫০১, সহীহ আল-জামে’-৫/৫৩১, সহীহ আত-তিরমিজী-৩/১৬০]
(৮) নবী (সঃ) বলেনঃ ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে একটি গুপ্তধন। [ সহীহ আল-বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৬]
(৯) নবী (সঃ) বলেনঃ ‘সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ এই কালীমাগুলি হচ্ছে “অবশিষ্ট নেকআ’মল সমুহ” । [ আহমাদ (সহীহ)-৫১৩, মাজমাউজ জাওয়াঈদ-১/২৯৭ ]
(১০) নবী (সঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআ’লা তার প্রতি দশ বার রহমত বরষন করবেন- “আল্লাহুম্মা সাল্লি ’আলা মুহাম্মাদিঁওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা সাল্লায়তা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা ’আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ আল্লাহুম্মা বারিক ’আলা মুহাম্মাদিঁওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা বারাকতা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা ’আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ এবং তিনি (সঃ) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দুরুদ পাঠ করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাবে ।” – [তাবারানী, মাজময়াউজ জাওয়াঈদ-১০/১২০, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব-১/২৭৩]
(পোস্ট টি শেয়ার করে অন্যকে জানাতে পারেন)
পবিত্র কুরআনে নামায
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে নামাযের ব্যাপারে খুবই গুরুত্বারোপ করেছেন এবং নামায ও নামাযীকে সম্মানিত করেছেন।কুরআনের অনেক জায়গায় বিভিন্ন ইবাদতের সাথে বিশেষভাবে নামাযের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেন:
• “নিশ্চয় নামায মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।” [১০]
• “তোমরা সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে (মাধ্যম) আসরের নামায। আর আল্লাহর সমীপে কাকুতি-মিনতির সাথে দাঁড়াও”। [১১]
• (বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে উদ্দেশ করে বলা হয়)“আমার বান্দাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে নামাজ কায়েম করতে বলুন।”[১২]
আল্লাহ তা’আলা আরো এরশাদ করেন:
• “তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত প্রদান করো, এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু করো।” [১৩]
• ‘ওহে যারা ঈমান এনেছ, তোমরা রুকু করো, সিজদা করো ও তোমাদের রবের ইবাদত করো এবং সৎ কাজ করো; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।[১৪]
• ‘আর আপনার পরিবারবর্গকে নামাজের আদেশ দিন এবং আপনি নিজেও এতে অবিচলিত থাকুন।[১৫]
সফলতা ও সম্মানিত স্থান জান্নাতে প্রবেশকে আল্লাহ তা’আলা নামাজের উপরই স্থাপন করেছেন। তিনি বলেন: – মোমিনগণ সফলকাম, যারা তাদের সালাতে নম্রতা ও ভীতির সাথে দণ্ডায়মান হয়। [১৬] ‘সফলকাম ব্যক্তি সে-ই যে পবিত্রতা অর্জন করেছে। আপন প্রতিপালকের নাম স্মরণ করেছে এবং নামাজ আদায় করেছে।’ [১৭]
অতঃপর বলেন: “আর যারা তাদের সালাতে যত্নবান, তারাই জান্নাতের ওয়ারিশ-যারা ফিরদাউসের ওয়ারিশ হবে এবং তথায় তারা চিরকাল থাকবে।[১৮]
নামায পরিত্যাগকারীর জন্য আল্লাহর আযাব অপরিহার্য। ইরশাদ হয়েছে: “অতঃপর তাদের পরে আসল এমন এক অসৎ বংশধর যারা নামাজ বিনষ্ট করল এবং কুপ্রত্তির অনুসরণ করল। সুতরাং তারা শীগ্রই জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে”। [১৯] দোজখের কঠিন শাস্তিতে নিক্ষিপ্তদের সম্পর্কে বলা হয়েছে “কী অপরাধ তোমাদের দোজখে টেনে আনা হলো? তারা উত্তরে বলবে, আমরা মুসল্লিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না তথা নামাজ আদায় করতাম না।” [২০]
হাদীসে নামাজ
আল্লাহর একাত্ববাদ ও হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রেসালতের স্বাক্ষ্য দেয়ার পর নামাজ হল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি রুকন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানের পরেই নামাজের কথা উল্লেখ করে বলেন -ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি: ১. এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন সত্যিকার ইলাহ নেই এবং হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল। ২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত প্রদান করা। ৪. রমজানের রোজা রাখা। ৫. বাইতুল্লাহর হজ্ব করা। [২১]
তিনি আরো বলেন -সবকিছুর মূল হল ইসলাম, আর ইসলামের খুঁটি নামাজ, আর ইসলামের শীর্ষ পীঠ হল জিহাদ। [২২]
নামাজ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ও সর্বোত্তম আমল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- তোমরা অটুট ও অবিচল থাক, গণনা করো না, আর মনে রাখবে তোমাদের সর্বোত্তম আমল হল নামাজ, একজন মুমিন অবশ্যই সর্বদা অজুর সংরক্ষণ করতে থাকে।[২৩]
নামাজ নূর
যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক আর আলহামদুলিল্লাহ পাল্লাকে সম্পূর্ণ করে, সুবহানাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে পূর্ণ করে। নামাজ নূর-আলো। দান খয়রাত প্রমাণ স্বরূপ। ধৈর্য উজ্জলতা আর কোরআন তোমার পক্ষে প্রমাণ অথবা তোমার বিপক্ষে প্রমাণ।[২৪]
নামাজ আল্লাহর নৈকট্য ও উচ্চ-মর্যাদা লাভের উপকরণ। সাওবান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে এমন আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন যা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন, তুমি বেশি করে আল্লাহর জন্য সেজদা-নামাজ আদায় করতে থাক, কারণ তোমার প্রতিটি সেজদার কারণে আল্লাহ তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তোমার গুনাহ মাফ করবেন। [২৫]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – কে জিজ্ঞাসা করা হল, আল্লাহর নিকট কোন আমল সবচেয়ে বেশি প্রিয় ? তিনি বলেন-সময় মত নামাজ আদায় করা, আবার জিজ্ঞাসা করা হল তার পর কোনটি? উত্তরে তিনি বলেন- মাতা পিতার সাথে সদাচরন করা। আবার জিজ্ঞাসা করা হল তার পর কোনটি ? উত্তরে বললেন আল্লাহর পথে জিহাদ করা। [২৬]
এই নামাজ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন — সালাতেই আমার চোখ জুড়ানো ও শীতলতা নিহিত।[২৭] এবং বেলাল রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন: তুমি নামাজের ব্যবস্থা কর এবং তার মাধ্যমে আমাকে তৃপ্ত কর। [২৮]
নামাজের মাধ্যমে ছগীরা তথা ছোট ছোট গুনাহগুলো হতে পরিত্রাণ লাভ করে এবং দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ হয়। হাদীসে এসেছে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যদি তোমাদের কারো (বাড়ীর) দরজার সামনে প্রবাহমান নদী থাকে এবং তাতে প্রত্যেক দিন পাঁচ বার গোসল করে, তাহলে কি তার (শরীরে) ময়লা বাকী থাকবে? (সাহাবীগণ) বললেন, ‘না’। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, অনুরূপভাবে আল্লাহ তা’আলা পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দ্বারা (বান্দার) গুনাহকে মিটিয়ে দেন’। [২৯] তিনি আরো একটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে বলেন, মুসলিম বান্দা যখন একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করে তখন তার গুনাহ এমনভাবে ঝরে পড়তে থাকে যেমন এই বৃক্ষের পাতা ঝরে পড়ে। [৩০]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন — যে কোন মুসলমানের জন্য যখন ফরজ নামাজের সময় উপস্থিত হয়, অতঃপর সে সুন্দরভাবে অজু করে এবং সুন্দরভাবে রুকু সেজদা করে, এতে তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। যদি সে কোন কবিরা গুনাহ না করে, আর এভাবে সর্বদা চলতে থাকে।[৩১]
নামাজের সময় কিছু সাধারণ ভুল
কাগজ অনলাইন ডেস্ক: অনেকেই জামাতের সঙ্গে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে কতগুলো সাধারণ ভুল করে থাকেন। যে ভুলগুলোকে অনেকে আবার ভুলও মনে করেন না। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে যারা নিয়মিত নামাজ পড়েন তারাও অবলীলায় এসব ভুল করে থাকেন। ভুল করতে করতে এমন অবস্থা হয়েছে যে, এখন এ ভুলগুলোকেই সঠিক নিয়ম বলে মনে হয়।
যদিও এ ভুলগুলো শোধরানো সংশ্লিষ্ট ইমামের দায়িত্ব। কিন্তু ইমামের কাছে সমস্যাগুলো প্রকাশ না করায় তা থেকেই যাচ্ছে। অভিজ্ঞ আলেমদের অভিমত হলো, এসব ভুলের অনেকগুলোই রাসূলের সুন্নতের খেলাফ। আবার কোনো কোনো ভুল তো নামাজই নষ্ট করে দিতে পারে।
এবার দেখা যাক কোন ধরনের ভুলগুলো হয়ে থাকে-
তাড়াহুড়া করে অজু করা: অজুর ফরজ চারটি। মুখমন্ডল ধৌত করা, উভয় হাত কনুইসহ ধোঁয়া, মাথার এক-চতুর্থাংশ মাসেহ করা এবং উভয় পা টাখনুসহ ধোয়া। এগুলো সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। হাত-পা, মুখমন্ডলের নির্দিষ্ট স্থানে পানি পৌঁছাতে হবে। কোনো জায়গা শুকনো থাকলে অজু হবে না। তাই তাড়াহুড়া করে অজু না করা ভালো। অজু শেষে কালেমা শাহাদাত পড়া যেতে পারে। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অজু শেষে কালেমা শাহাদাত পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়। সে ইচ্ছা করলে এর যে কোনো দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে।’ -মুসলিম শরিফ
নামাজের জন্য দৌঁড়ে যাওয়া: অনেকেই নামাজের জন্য মসজিদে দৌঁড়ে যান। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্রুত হাঁটা দৌঁড়ের কাছাকাছি বা দৌঁড় দিয়েও অনেকে নামাজে পৌঁছে হাঁপাতে হাঁপাতে কাতারে দাঁড়িয়ে যান। এই হাঁপানো অবস্থাতেই এক রাকাতের মতো চলে যায়। এটা আল্লাহর রাসূল (সা.) পছন্দ করেননি। তিনি নিষেধ করেছেন। আপনি হয় সময় নিয়ে নামাজ পড়তে যাবেন অথবা ধিরস্থির ও শান্তভাবে হেঁটে গিয়ে যতটুকু জামাতে শরিক হতে পারেন হবেন এবং বাকি নামাজ নিজে শেষ করবেন।
হজরত আবু কাতাদা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার আমরা নবী (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ পড়ছিলাম, নামাজরত অবস্থায় তিনি লোকের ছুটাছুটির শব্দ অনুভব করলেন। নামাজা শেষে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি করছিলে? তারা আরজ করল, ‘আমরা নামাজের জন্য তাড়াতাড়ি আসছিলাম। আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, এরূপ কখনো করো না। শান্তিশৃঙ্খলা ও ধীরস্থিরভাবে নামাজের জন্য আসবে, তাতে যে কয় রাকাত ইমামের সঙ্গে পাবে পড়ে নেবে, আর যা ছুটে যায় তা ইমামের নামাজের পর পুরা করে নেবে।’ -বোখারি শরীফ, খ–১, হাদিস নম্বর- ৩৮৭
এই হাদিসে রাসূল (সা.) নামাজে আসার এবং নামাজে শামিল হওয়ার সুনির্দিষ্ট নিয়ম বলে দিয়েছেন যে শান্
If you're thinking about building a barndominium in 2025, you're not alone. These barn-style homes…
A dead or drained car battery can be a frustrating issue, especially when you're in…
Dreaming of a tropical escape but want to explore on your own terms? If you’ve…
Teaching your child to share is one of the most valuable lessons they’ll learn in…
Old gasoline sitting in your garage or shed can pose serious risks to your health,…
If you’re a fan of anime and are curious about the stranger, more supernatural side…