১৭২৪। যাকারিয়্যা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … যুরারহ ইবনু আওফা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, সা’দ ইবনু হিশাম আমাদের কাছে এসে বললেন যে, তিনি ইবনু আব্বাসের নিকট গিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতরেব সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে সন্ধান দেব না? অথবা (তিনি বললেন) আমি কি তোমাকে ধরাবাসীদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতরের সালাত সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত ব্যক্তির সংবাদ দেব না? আমি বললাম, তিনি কে? তিনি বললেনঃ আয়িশা (রাঃ)। তখন আমরা তার কাছে আসলাম এবং তাকে সালাম বলে তার ঘরে প্রবেশ করলাম এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলাম।
আমি বললাম আপনি আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতরের সালাত সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, আমরা তার জন্য তার মিসওয়াক এবং উযূর পানি তৈরী করে রাখতাম। আল্লাহ তাআলা তাকে রাত্রে যখন জাগাতে ইচ্ছা করতেন জাগিয়ে দিতেন। তিনি মিসওয়াক করে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন এবং নয় রাকআত সালাত আদায় করতেন। শুধুমাত্র অষ্টম রাকআতেই বসতেন। (বসে) আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করতেন এবং তার যিকর করতেন আর দোয়া করতেন। তারপর উঠে যেতেন; সালাম ফিরাতেন না।
অতঃপর নবম রাকআত আদায় করতেন এবং বসে যেতেন ও আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা বর্ণনা করতেন, তার যিকর এবং দোয়া করতেন। তারপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যা আমরা শুনতে পেতাম। অতঃপর সালাম ফিরানোর পর বসা অবস্থায় দু’রাকআত সালাত আদায় করতেন। হে বৎস! তাহলে মোট এগার রাকআত সালাত আদায় করা হত। যখন তিনি বয়স্ক হয়ে গেলেন এবং শরীর ভারী হয়ে গেল, তখন তিনি সাত রাকআত পড়ে বেজোড় করে দিতেন। তারপর সালাম ফিরানোর পর বসা অবস্থায় দু’রাকআত সালাত আদায় করতেন। হে বৎস! তাহলে সেটি নয় রাকআত সালাত আদায় করা হল। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সালাত আদায় করতেন তা সর্বদা আদায় করতে ভালবাসতেন।[সহীহ। মুসলিম]
باب كَيْفَ الْوِتْرُ بِتِسْعٍ
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، أَنَّ سَعْدَ بْنَ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ، لَمَّا أَنْ قَدِمَ، عَلَيْنَا أَخْبَرَنَا أَنَّهُ، أَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلَهُ عَنْ وَتْرِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَلاَ أَدُلُّكَ أَوْ أَلاَ أُنَبِّئُكَ بِأَعْلَمِ أَهْلِ الأَرْضِ بِوَتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قُلْتُ مَنْ قَالَ عَائِشَةُ . فَأَتَيْنَاهَا فَسَلَّمْنَا عَلَيْهَا وَدَخَلْنَا فَسَأَلْنَاهَا فَقُلْتُ أَنْبِئِينِي عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ كُنَّا نُعِدُّ لَهُ سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوَضَّأُ ثُمَّ يُصَلِّي تِسْعَ رَكَعَاتٍ وَلاَ يَقْعُدُ فِيهِنَّ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ فَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيَذْكُرُهُ وَيَدْعُو ثُمَّ يَنْهَضُ وَلاَ يُسَلِّمُ ثُمَّ يُصَلِّي التَّاسِعَةَ فَيَجْلِسُ فَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيَذْكُرُهُ وَيَدْعُو ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَىَّ فَلَمَّا أَسَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ فَتِلْكَ تِسْعًا أَىْ بُنَىَّ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَحَبَّ أَنْ يُدَاوِمَ عَلَيْهَا .