রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মুশরিকগন(হিন্দু ও বৌদ্ধ) মুসলমানদেরকে নিজেদের কাজে নিয়োজিত করবে, এমনকি তাদেরকে (মুসলমানদেরকে) বড় বড় শহরে কেনা বেচা করবে এবং (হিন্দু ও বৌদ্ধদের) ভালো মন্দ কোন ব্যাক্তি এই কাজ করে করতে ভয় পাবেনা। তখন তারা(মুসলমানরা) সবাই নিরাশ হয়ে যাবে এবং ভাবতে থাকবে, তাদের মুক্তির আর কোন উপায় নেই। ঠিক সেই সময়ে আল্লাহ তায়ালা আমার বংশের এক ব্যক্তিকে আবির্ভূত করাবেন, সে হবে ন্যায় পরায়ন, পূণ্যময় ও পবিত্র।সে ইসলামের কোন বিধানই উপেক্ষা করবে না। মহান আল্লাহ তার মাধ্যমে ধর্ম, কুরআন, ইসলাম ও মুসলমানদের সম্মান প্রদান দিবেন এবং মুশরিকদের লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করবেন। সে সবসময় আল্লাহকে ভয় করবেন এবং মহান আল্লাহর বিধি বিধান প্রয়োগ করতে তার কোন স্বজনদের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। সে তার নিজের জন্য পাথরের উপর পাথর সাজাবেন না এবং কোন ইমারত নির্মাণ করবেন না। একমাত্র শরীয়া প্রয়োগ ব্যতীত কাউকে চাবুক মারবে না। তার মাধ্যমে আল্লাহ সকল বিদআতের মূলোৎপাটন করাবেন এবং সকল ফিতনার অবসান ঘটাবেন। তার মাধ্যমে আল্লাহ সকল ন্যায় সংগত অধিকারের দরজা উন্মুক্ত হবে এবং বাতিলের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। আর যেখানেই মুসলমানরা পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকুক না কেন? আল্লাহ তার মাধ্যমে তাদেরকে মুক্ত করাবেন এবং তাদেরকে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেবেন”।
(আল মালাহিম ওয়াল ফিতান, পৃষ্ঠা – ১০৮, আসরে জুহুরী, লেখকঃ আল্লামা আলী আল কুরানী, পৃষ্ঠা – ৪৪)
এই হাদিসে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলঃ
- মুশরিকরা (হিন্দু ও বৌদ্ধ) কিয়ামতের পূর্বে অসহায় মুসলমানদেরকে প্রথমে তাদের নিজের জন্য গোলামি করাবে?
- একসময় মুশরিকরা (হিন্দু ও বৌদ্ধ) মুসলমানদেরকে বড় বড় শহরে প্রকাশ্যে গরু ছাগলের মত কেনা বেচা করবে?
- মুশরিকদের (হিন্দু ও বৌদ্ধ) ভাল খারাপ সবাই মুসলমানদেরকে গরু ছাগলের মত কেনা বেচা করবে? এবং তারা (হিন্দু ও বৌদ্ধ) মুসলমানদের কেনা বেচা করতে কাউকেই কোন ভয় পাবে না?
- একপর্যায়ে মুসলমানরা মনে করবে, তাদের মুক্তির আর কোন উপায় নেই এবং সবাই হতাশ হয়ে যাবে? কিন্তু তার পরেও জিহাদ করবে না। অবশেষে মুসলমানদের খলিফা এই অসহায় মুসলিমদের উদ্ধার করবেন, কিন্তু কে সেই খলিফা?
হযরত কা’ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, বায়তুল মোকাদ্দাসের(জেরুজালেমে) একজন বাদশাহ ভারতের দিকে সৈন্য প্রেরণ করবে এবং সেখানের যাবতীয় সম্পদ ছিনিয়ে নিবে। ঐ সময় ভারত বায়তুল মোকাদ্দাসের একটি অংশ হয়ে যাবে। তখন তার সামনে ভারতের সৈন্য বাহিনী গ্রেফতার অবস্থায় পেশ করা হবে। প্রায় গোটা পৃথিবী তার শাসনের অধীনে থাকবে। ভারতে তাদের অবস্থান দাজ্জালের আবির্ভাব হওয়া পর্যন্ত থাকবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ১২৩৫ ]
হযরত আরতাত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উক্ত ইয়ামানী খলীফার নেতৃত্বে কুস্তুনতুনিয়া (ইস্তাম্বুল) এবং রোমানদের এলাকা(ইউরোপ) বিজয় হবে। তার যুগে দাজ্জালে আবির্ভাব হবে এবং হযরত ঈসা (আঃ) আগমন করবেন। তার আমলে ভারতের যুদ্ধ সংগঠিত হবে, যে যুদ্ধের কথা হযরত আবু হুরায়রা বলে থাকেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ১২৩৮ ]
উল্লেখ, এই হাদীসে যে খলিফার কথা বলা হয়েছে, তিনি ইমাম মাহদী না। ইমাম মাহদী কেবল জেরুজালেমে সর্বপ্রথম খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করবেন।বরং ইমাম মাহদীর মৃত্যুর অনেক পর একজন ইয়েমেনী খলিফা যাকে কাহতানী খলিফাও বলা হয়েছে, মুসলমানদেরকে মুশরিক(হিন্দু ও বৌদ্ধ) দের থেকে মুসলমানদেরকে উদ্ধার করবেন। আর এটাই হবে গাজওয়াতুল হিন্দ বা, ভারতের সাথে মুসলিমদের যুদ্ধের সময়।
একটু চিন্তা করেন তো, আপনার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কি অপেক্ষা করছে? হ্যাঁ, একদিন তাদেরকে হিন্দু ও বৌদ্ধরা গরু ছাগলের মত বাজারে নিয়ে বিক্রি করবে। তাই এখন থেকেই আরো ভালো মত এসব মুশরিকদের পা আরো ভালো করে চাটতে থাকুন !!!!