ইসলাম ডেস্ক: এশার নামাজ আদায়ের পর বিতরের তিন রাকাআত নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজ ওয়াজিব। বিতর নামাজ তিন রাকাআত বিশিষ্ট নামাজের মত বেতরের নামাজ পড়িবে। তবে তৃতীয় রাকাআতে সূরা ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা বা আয়াত পড়ে আল্লাহু আকবর বলে নিয়ত করে দোয়ায়ে কুনুত পড়তে হবে। তারপর রুকু সিজদা ইত্যাদি যথারীতি আদায় করে নামাজ শেষ করতে হবে।
রমজান মাস ব্যতীত সকল সময়ে বিতরের নামাজ একা একা এবং নিঃশব্দে পড়তে হবে। রমজান মাসে এই নমাজ জামায়াতের সাথে আদায় করা মুস্তাহাব। রমজান মাসে তারাবীর নামাজ শেষে ইমাম সাহেব প্রত্যেক রাকাতেরই সজোরে কেরাতে পাঠ করবে এবং তৃতীয় রাকাআতে ইমাম সাহেব কেরাআত শেষ করে সশব্দে “আল্লাহু আকবর” বলে কান পর্যন্ত হাত উঠাইয়া পুণরায় তাহা বাঁধিবে।
মোক্তাদিগণ চুপে চুপে শুধু ইমামের অনুকরণ করবে। হাত বেধে সবাই চুপে চুপে দোয়ায়ে কুনুত পড়বে।
দোয়া কুনুত:
اللهم انا نستعينڪ و نستغفڪ ونؤمن بڪ و نتوڪل عليڪ ونثني عليڪ الخير و نشڪرڪ ولا نڪفرڪ و نخلع ونترڪ من يفجرڪ اللهم اياڪ نعبد ولڪ نصلي و نسجد واليڪ نسعي و نحفد ونرجو رحمتڪ و نخشي عذابڪ ان عذابڪ بالڪفار ملحق
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাইনুকা ,অনাসতাগফিরুকা,অনু-মিনুবিকা, অনাতাঅক্কালু আলাইকা, অনুসনী আলাইকাল খইরা , অনাশকুরুকা , অলানাকফুরুকা, অনাখলা’ ণাতরুকু, মাই ইয়াফ জুরুকা, আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু , অলাকানুছল্লি, অনাসজুদু, অইলাইকা নাসআ, অনাহফিদু, অনারজু রহমাতাকা, অনাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিলকুফ্ফারি মুলহিক।
পরে যথাবিহিত ইমাম সাহেব রুকু, সিজাদা, তাশাহুদ, দরূদ পড়ে সালাম করে নামাজ শেষ করবে, মোক্তাদিগহণও তার অসনুসরণ করবে।
যদি কেহ দোয়ায়ে কুনুত না জানে তবে না শিখা পর্যন্ত সে দোয়ায়ে কুনুতের স্থলে নিম্নেক্ত দোয়া পড়বে।
উচ্চারনঃ রাব্বানাআতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাও ওয়াফিল আখিরাতে হাচানাতাও ওয়াকিনা আজাবান্নার।