৮৯০. মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ……. আবদুর রহমান ইবনু ইয়া’মুর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নজদবাসী কতিপয় লোক রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এল তখন তিনি আরাফায় ছিলিন। তার হজ্জ সর্ম্পকে তাঁকে জিজ্ঞাসা করে। তিনি তখন এক ঘোষণাকরীকে এই মর্মে ঘোষনা দিতে নির্দেশ দিলেন যে, হজ্জ হল আরাফাতে অবস্থানের নাম। কেউ যদি মুযাদালিফার রাতে ফজর উদয়ের পূর্বেই এখানে আসে তবে সে হজ্জ পেল। মিনায় অবস্থানের দিন হল তিন দিন। কেউ দুই দিন অবস্থান করে শীঘ্র ফিরে যেতে চাইলে তাতে কোন দোষ নাই। আর তিন দিন অবস্থান বিলম্বিত করতে চাইলেও তাতে কোন দোষ নাই। মুহাম্মদ আল বুখারী বলেন যে, ইয়হ্ইয়া আরো অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে তাঁর পিছনে আরোহণ করালেন অনন্তর এই ব্যক্তি এ ব্যাপারে ঘোষণা প্রদান করলেন। – ইবনু মাজাহ ৩০১৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮৮৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ أَدْرَكَ الإِمَامَ بِجَمْعٍ فَقَدْ أَدْرَكَ الْحَجَّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمَرَ، أَنَّ نَاسًا، مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بِعَرَفَةَ فَسَأَلُوهُ فَأَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى “ الْحَجُّ عَرَفَةُ مَنْ جَاءَ لَيْلَةَ جَمْعٍ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ فَقَدْ أَدْرَكَ الْحَجَّ أَيَّامُ مِنًى ثَلاَثَةٌ فَمَنْ تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَنْ تَأَخَّرَ فَلاَ إِثْمَ عَلَيْهِ ” . قَالَ مُحَمَّدٌ وَزَادَ يَحْيَى وَأَرْدَفَ رَجُلاً فَنَادَى.
৮৯১. ইবনু আবী উমার (রহঃ) ….. আব্দুর রহমান ইবনু ইয়া’মুর (রাঃ) সূত্রে নবী থেকে এই মর্মে অনূরুপ বর্ণিত আছে। ইবনু আবী উমার (রহঃ) বলেছেন যে, সুফিয়ান ইবনু উআয়না বলেন, এটি একটি উত্তম রিওয়ায়াত যা সুফিয়ান ছাওরী (রহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, সাহাবী ও অন্যান্য আলিম আব্দুর রহমান ইবনু ইয়া’মুর (রাঃ)-এর হাদিস অনুসারে আমল করেছেন। তাঁরা বলেন ফজর উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত যদি কেউ উকূফে আরাফা করতে না পারে তার হজ্জ ফওত হয়ে যাবে। ফজরের উদয়ের পর যদি আসে তবে তা ধর্তব্য হবে না। বরং তা উমরা হয়ে যাবে এবং আগামী বছর তাকে হজ্জ সম্পাদন করতে হবে। এহলো ছাওরী, শফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) – এর অভিমত। শু’বা (রহঃ) ও বুকায়র ইবনু আতা (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, ওয়াকী’ এই হাদিসটি রিওয়ায়াত করে বলেছেন, এই হাদিসটি হলো হজ্জ সম্পর্কিত হাদিসসমূহের মূল। – তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮৯০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ أَدْرَكَ الإِمَامَ بِجَمْعٍ فَقَدْ أَدْرَكَ الْحَجَّ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . وَقَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَهَذَا أَجْوَدُ حَدِيثٍ رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَالْعَمَلُ عَلَى حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْمَرَ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُ مَنْ لَمْ يَقِفْ بِعَرَفَاتٍ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ فَقَدْ فَاتَهُ الْحَجُّ وَلاَ يُجْزِئُ عَنْهُ إِنْ جَاءَ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ وَيَجْعَلُهَا عُمْرَةً وَعَلَيْهِ الْحَجُّ مِنْ قَابِلٍ . وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَطَاءٍ نَحْوَ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ . قَالَ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا أَنَّهُ ذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ هَذَا الْحَدِيثُ أُمُّ الْمَنَاسِكِ .