নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
রমজানের বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার প্রথম পর্বে রমজান মাসে কোন কোন দোয়া বেশি বেশি করা উচিত, সে সম্পর্কে টেলিফোনে জানতে চেয়েছেন একজন দর্শক। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : রমজান মাসে কোন দোয়া বা আমল আমরা বেশি বেশি করতে পারি?
উত্তর : রমজান মাস পুরোটাই মূলত রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আল্লাহর বান্দারা দোয়া করবে। কারণ, আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা রমজান মাসটাকে রহমতের জন্য ভরপুর করে দিয়েছেন। তাই আমরা আল্লাহতায়ালার কাছে রহমত চাইতে পারি এবং মাগফিরাতের জন্য দোয়া করতে পারি।
‘আল্লাহুম মাগফিরলি ওয়াতুব আলাইয়া’ ধরনের দোয়া করতে পারেন,যেগুলোতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা হয়েছে, অথবা আসতাগফিরুল্লাহা… ওয়াতুব ইলাইহে, অথবা যেগুলোতে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা রয়েছে, যেমন— লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদিরের মতো দোয়া করতে পারেন।
আর রাসুলুল্লাহ (সা.) শবে কদরের জন্য হজরত আয়েশাকে (রা.) যে দোয়াটি শিক্ষা দিয়েছেন, সেটি হচ্ছে— আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফু’উন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।
এই সব দোয়ার মধ্যে মূলত ক্ষমার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এই ধরনের রেওয়ায়েতগুলো সামনে রেখে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, এই সময়টা মূলত ক্ষমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই এই সময়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমার জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে পারেন। তবে দোয়ার জন্য শর্ত নয় যে দোয়া আরবিতে হতে হবে। আপনি দোয়া বাংলায় করতে পারেন, আরবিতেও করতে পারেন। যদি আরবি দোয়া আপনার জানা না থাকে, আপনি নিজের ভাষায় দোয়া করতে পারেন। সেটাও করা জায়েজ আছে। সে ক্ষেত্রে মাতৃভাষায় বুঝে দোয়া করা, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।