কালো পতাকাবাহী দল কারা,খোরাসান থেকে কালো পতাকা pdf, খোরাসান কোথায় অবস্থিত, হলুদ পতাকাবাহী দল, খোরাসানের কালো পতাকা, কালো পতাকা বাহিনী, খোরাসান কি,
খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রতিটি সচেতন মুসলমানের জন্য আবশ্যক। কারন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদেরকে কঠিন ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থান হলে তোমরা বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাদের সাথে যোগ দিবে। অর্থাৎ খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের সাথে যুক্ত হওয়া প্রতিটি মুসলমানের জন্য ওয়াজিব। তাই সচেতন মুসলমানদের জন্য খোরাসানের বাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানা বাধ্যতামূলক। কারন, এই দলটির মধ্য থেকেই ইমাম মাহদীর আবির্ভাব হবে।
খোরাসান কোথায় অবস্থিত?
মূলত রাসুল (সাঃ) এর যুগে বৃহত্তর খোরাসান বলতে এর সীমানা নিম্ন লিখিত ভূখণ্ডের সমষ্টিকে বুঝায়, যার মূল কেন্দ্র হচ্ছে বর্তমান আফগানিস্তান। বিস্তৃতি নিম্নরূপঃ
“উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তান (হেরাত, বালখ, কাবুল, গাজনি, কান্দাহার দিয়ে বিস্তৃত), উত্তর ও দক্ষিন-পূর্ব উজবেকিস্তান (সামারকান্দ, বুখারা, সেহরিসাবজ, আমু নদী ও সীর নদীর মধ্যাঞ্চল দিয়ে বিস্তৃত), উত্তর-পূর্ব ইরান (নিশাপুর, তুশ, মাসহাদ, গুরগান, দামাঘান দিয়ে বিস্তৃত), দক্ষিন তুর্কমেনিস্তান (মেরি প্রদেশ – মার্ভ, সানজান), দক্ষিন কাজিকিস্তান, উত্তর ও পশ্চিম পাকিস্তান (মালাকান্দ, সোয়াত, দীর ও চিত্রাল), উত্তর পশ্চিম তাজিকিস্তান (সুগ্ধ প্রদেশের খোজান্দ, পাঞ্জাকেন্ত দিয়ে বিস্তৃত)”। আরও বিস্তারিত পড়ুনঃ
খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে হাদীসের ভবিষ্যৎবাণীঃ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”।
(সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮)
** হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”।
(মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)
** হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা নবী করীম (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উনি বলতে ছিলেন, “ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে (হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন)। তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা সত্যের (পূর্ণ ইসলামী শাসনের) দাবী জানাবে, কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুইবার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে, কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত তারা (ইসলামী শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব) আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয়”।
(আবু আ’মর আদ দাইনিঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আবদুল্লাহ শাফেয়ী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)
** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”।
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)
খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনীর আবির্ভাব হওয়া পূর্বে কি কি ঘটবে?
খোরাসানের বাহিনীর উত্থান কবে হবে?
হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমাদের ধনভাণ্ডারের (ফোরাত নদীর স্বর্ণের পাহাড়ের) নিকট তিনজন বাদশাহের সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার (স্বর্নের পাহাড়) তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে কতগুলো কালো পতাকাবাকী দল আত্মপ্রকাশ করবে। তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে, যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি”। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর নবীজি (সাঃ) আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন, “তারপর আল্লাহর খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে, তাঁর হাতে বাইয়াত নেবে। যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি”।
(সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)
এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় ভেসে উঠার পর খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থান হবে।ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় ভেসে উঠার আগে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থান হবে না এটাই গ্রহনযোগ্য মত। এখন প্রশ্ন হল, ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় কবে ভেসে উঠবে?
উত্তর হলঃ ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় ভেসে উঠবে ২০২৬ সালে। (ইনশাল্লাহ) বিস্তারিত জানতে পড়ুন
অর্থাৎ ২০২৩ সালের পর যখন স্বর্নের পাহাড় দখল করার জন্য তুরস্ক, আমরিকা সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে তখনই খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থান হবে।
** হযরত ইবনুল হানাফিয়্যাহ (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, খোরাসান থেকে কালো ঝান্ডাবাহী দল এবং শুয়াইব ইবনে সালেহ ও মাহদীর আত্নপ্রকাশ এবং মাহদীর হাতে ক্ষমতা আসা বাহাত্তর মাসের (৬ বছরের) মধ্যেই সংঘটিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৮০৪ ]
কোন এলাকার মানুষ খোরাসানের বাহিনীর সহযোগী হবে?
“দরিদ্র পীরিত তালোকান অঞ্চল(আফগানিস্তানের উত্তর পূর্বাঞ্চল) সেখানে স্বর্ন, রৌপ্যের খনি নেই কিন্তু আল্লাহ্র রহমত দ্বারা পরিপূর্ণ। তারাই আল্লাহর রহমত দ্বারা স্বীকৃত, শেষ জমানায় তারাই হবে ইমাম মাহদীর সহযোগী “।
(লেখকঃ আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী ফি আখিরুজ্জামান)
কেবলমাত্র তাজিকিস্তান সীমান্তবর্তী তালোকান, কুন্দুজ, জালালাবাদ পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষেরাই কেবলমাত্র সত্যিকারের খোরাসানের বাহিনীর সহযোগী হবেন। তালোকান অঞ্চল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন, লিংকঃhttps://en.m.wikipedia.org/wiki/Taloqan
খোরাসানের কালো পতাকাবাহী বাহিনীর যোদ্ধার সংখ্যা কত হবে?
** হযরত হাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আর্যদের পিতল বর্নের চাঁর ব্যাক্তি বনি তামিম গোত্রের অভিমুখে বের হবেন। তাদের মধ্যে একজন হবেন হাঙর মাছের মত, যার নাম হবে শুয়াইব ইবনে সালেহ। তার সাথে ৪০০০ সৈন্য থাকবে। তাদের পোশাক হবে সাদা, আর তাদের পতাকা হবে কালো। তারা ইমাম মাহদীর অগ্রগামী অনুগত সৈন্য হবে এমনকি তারা তাদের শত্রুদের পরাজিত না করে মাহদীর সাথে সাথে সাক্ষাৎ করবে না।
( আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৮৯৭)
** হযরত যামরা ইবনে হাবীব (রহঃ) ও তার শাইখদের থেকে বর্ণিত তারা বলেন, সুফইয়ানী তার অশ্বারোহী বাহিনী ও সৈন্যদল প্রেরণ করবে। তারা খোরাসানের আম্মাতুশ শিরকে (ইরানের ইসফাহান শহর) ও পারস্য (ইরানের) ভুমিতে পৌছবে। অতপর পূর্বাঞ্চলের (ইরানের) অধিবাসীরা তাদের সাথে বিদ্রোহ করবে। ফলে তারা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। আর তাদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় অনেক যুদ্ধ হবে। যখন তাদের মাঝে যুদ্ধ বিগ্রহ দীর্ঘস্থায়ী হবে তখন বনু হাশেমের এক ব্যক্তির নিকট বাইয়াত গ্রহন করবে। আর সে সেদিন পূর্বাঞ্চলের একেবারে শেষে থাকবে। অতপর সে খোরাসানবাসীদের নিয়ে বের হবে। উক্ত দলের সম্মুখে থাকবে বনু তামিমের আযাদকৃত গোলাম (শুয়াইব ইবনে সালেহ)। সে হবে হলুদ বর্ণের, পাতলা দাড়ি ওয়ালা। পাঁচ হাজারের (সৈন্য নিয়ে) মধ্যে তার দিকে বের হবে।
(কিতাবুল ফিতানঃ হাদিস নং – ৯১৫)
এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, খোরাসানের মূল বাহিনী বের হওয়ার পূর্বেই খোরাসান থেকে কিছু যোদ্ধারা ইরানের ভূখণ্ডে তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধে লিপ্ত থাকবে, তারপর শুয়াইব ইবনে সালেহ এর নেতৃত্বে ৪/৫ হাজার সৈন্য নিয়ে ইরানের ফার্স শহরের ইস্তাখর নামক ঐতিহাসিক স্থানে সুফিয়ানী বাহিনীর সাথে ভয়ংকর যুদ্ধে লিপ্ত হবে। আর এই যুদ্ধেকেই আহওয়াজের যুদ্ধ বলা হয়েছে। তবে শুয়াইব ইবনে সালেহ যখন ৪/৫ হাজার সৈন্য নিয়ে ইরানের দিকে রওনা দিবে তার সাথে আরো কয়েকটি ছোট ছোট দলও থাকবে।
মনসুর ইয়ামানী কে? কখন তার উত্থান হবে?
‘মানসুর’ সম্পর্কে হযরত হিলাল ইবনে আমর বর্ণনা করেন, আমি হযরত আলী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, রসুল (সাঃ) বলেছেন,“এক লোক মা-আরউন্নহর (নদীর ওপার) থেকে আবির্ভূত হবে যাকে হারছ হাররাস নামে ডাকা হবে। তবে তার পূর্বে জৈনিক ব্যাক্তি (ইরাকের কুফায়/মসূল শহরে) আসবেন। যার নাম হবে মানসুর, যে (খেলাফত বিষয়ে) মুহম্মদ (সাঃ) বংশের জন্য পথ সুগম করবে বা শক্ত করবে, যেমনটি কুরাইশ আল্লাহর রাসুলকে ঠিকানা দান করেছিল। তার সাহায্য সহযোগিতা করা কিংবা তার ডাকে সাড়া দেওয়া প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য বলে বিবেচিত হবে”।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪২৯০)
ইসলামের পরিভাষায়, আমু নদীর ওপারে অবস্থিত মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে ইসলামের পরিভাষায় ‘মা-আরউন্নহর’ বা ‘নদীর ওপার’ বলা হয়। উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজিকিস্তান এর অন্তর্ভুক্ত যা কিনা বৃহত্তর খোরাসানের একটি অংশ।এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, খোরাসানের বাহিনীর আবির্ভাবের পূর্বেই ইয়েমেন থেকে মনসুর ইয়ামানী ইরাকের কুফা/মসূল শহরে আসবেন।যিনি খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলকে সর্বাত্মক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করবেন। তারপর খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থান হবে।
**হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, “সুফিয়ানী এবং (মনসুর) ইয়েমেনীর উত্থান হবে প্রতিযোগিতার দুটি ঘোড়ার মত”। (অর্থাৎ সুফিয়ানী যখন দক্ষিণ সিরিয়ার Daraa শহর থেকে আবির্ভাব হবে একই সময়ে ইয়েমেন থেকে ‘মনসুর ‘ ইয়েমেনী ইরাকের কুফা/মসূল শহরে আসবেন)
(কিতাবুল গাইবাহ, ১৮ নং অধ্যায়, পৃষ্ঠা নং ৪৪৫, মুজ’য়াম আল হাদীস ইমাম আল মাহদী, খন্ড ৩,পৃষ্ঠা ৪৭৮, বিহারুল আনোয়ার, খন্ড ৫২, পৃষ্ঠা ২৭৫, ২৫৩)
অন্যান্য হাদীস অনুসন্ধান করে বুঝা যায়, ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের ৬/৭ বছর পূর্বে সিরিয়ার দারা শহর থেকে সুফিয়ানীর উত্থান হবে, ঠিক একই সময়ে ইয়েমেন থেকে মনসুর ইয়েমেনী ইরাকের কুফা (মসূল) শহরে আসবেন। তিনি খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থানের জন্য একটি সুন্দর অবস্থান তৈরি করবেন।
কোন দল থেকে মনসুর ইয়েমেনীর উত্থান হবে?
মূলত ইয়েমেনে দুইটি কালো পতাকাবাহী দলের অস্তিত্ব রয়েছে। আর এই দুটি দলের যেকোন একটি দল থেকেই মনসুর এর উত্থান হবে।
১, AQAP(Al qaed in the Arabian peninsula) বা, আনসার আস শরিয়া। এই দলটিকে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী আল কায়দার ব্রাঞ্চ হিসেবে গণ্য করা হয়। তারা মূলত ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট, ইয়েমেনের সেনাবাহিনী, আমরিকা, ও শিয়া হুতী বিদ্রোহীদের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ইয়েমেনের আদন ও আবিয়ান প্রদেশের বেশ কিছু এলাকা নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা আমির ছিলেন নাসের আল ওহাইসী (রহঃ) আর বর্তমান আমির হল কাসিম আল রাইমী। এই দলেরই একজন সদস্য ছিলেন বিখ্যাত দায়ী আনোয়ার আল আওলাকি (রহঃ)।
২, ISIL-YP(Islamic state of Iraq and syria – Yemen province) বা, উলিয়ায়ে ইয়েমেন। এই দলটি মূলত ইসলামিক ইস্টেট খিলাফত ঘোষণা করার পর আনসার আস শরিয়া থেকে বের হয়ে ইসলামিক ইস্টেট এর প্রতি বাইয়াত দেয়। তাদের আমির হল বিলাল আল হারবি, বর্তমানে তারা নিজেদের দল সংগঠিত করার কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
তবে এমনও হতে পারে, মনসুর, নাসের , আনসার বা, অন্য নামও থাকতে পারে। কারন মনসুর, নাসের, আনসার সবগুলোর অর্থই সাহায্যকারী।সবচেয়ে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হল, আনসার আস শরিয়া দলে একাধিক কমান্ডারের নাম হল, যেমনঃ মুহাম্মদ নাসের দেহিস, নাসের মুহাম্মদ জুবাহ আল মাকনী, নাসের মুহসিন বাসাবরেন, নাসের মুবারক আল মুহাইল। এছাড়াও মনসুরী ব্রিগেড নামে একটি শাখাই রয়েছে। আর আনসার আস শরিয়া যার, অর্থই হল শরিয়া এর সাহায্যকারী।
অর্থাৎ সুফিয়ানীর উত্থানের সমসাময়িক ইয়েমেন থেকে যারাই ইরাকের কুফা (মসূল) শহরে আসবে তাদেরকেই মনসুর ইয়েমেনী ধরে নিতে হবে। এবং তাকে সাহায্য করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক বা, ওয়াজিব।
হারস হাররাস কে? তিনি কোথায় থেকে বের হবেন?
খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থানের পূর্বে কালো পতাকাবাহী দল গুলো পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকবে (যেমনটি বর্তমানে রয়েছে), এই হারস হাররাসই পুনরায় সকল কালো পতাকাবাহী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। তিনি আহলে বাইতের (রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বংশের) লোক হবেন। কিছু কিছু বর্ণনায় বুঝা যায়, তিনি মাহদীর পূর্বে ১৮ মাস খলিফা থাকবেন। তিনি হবেন মাহদীর বৈমাত্রিয় ভাই বা, চাচাতো ভাই। এমনকি মাহদী নিজেও প্রথমদিকে হারস হাররাস এর দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে থাকবেন। পরবর্তীতে তিনি শুয়াইব ইবনে সালেহ এর সাথে যোগ দিবেন।
** হযরত হেলাল ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি হযরত আলী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“একজন লোক মা আরউন্নহর (আমু নদীর ওপার) থেকে বের হবে। যাকে হারস হাররাস নামে ডাকা হবে”। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং – ৪২৯০)
** হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মাহদীর পূর্বে তার প্রাচ্য (মধ্য এশিয়ার দেশ) থেকে আহলে বাইতের এক ব্যক্তি (হারস হাররাস) বের হবে। তার কাধে ১৮ মাস বা, ৮ মাস তরবারী বহন করবে (যুদ্ধের নেতৃত্ব দিবে)। সে মানুষকে হত্যা করে লাশ বিকৃত করবে এবং বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। সেখানে পৌছানোর পূর্বেই সে মারা যাবে, কিন্তু সে বাইতুল মুকাদ্দাসে পৌছতে পারবে না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯২০ ]
** হযরত আবু ত্বহাবী (রহঃ) বলেন, প্রাচ্যের দিক থেকে ৮০০ বা, ৮০০০ (মুসলিম মুজাহিদ) বের হবে। যাদের অন্তরে ইমানে পরিপূর্ণ থাকবে। এরপর তাদের ইরানের পদস্খলন ঘটবে’ ওয়ার ‘ নামক স্থানে। এর এটাই হল ভাগ্যবিরম্বনা। যখন হাশেমী ব্যাক্তি (হারস হাররাস) ও তার সঙ্গী সাথী গন কালো পতাকাবাহী দল নিয়ে খোরাসান থেকে বের হবে। তখন সুফিয়ানীর ক্ষমতা প্রথমবারের মতো কেপে উঠবে। তখন হাশেমী ব্যাক্তি (হারস হাররাস) ও সুফিয়ানীর মধ্যে কোন চুক্তি সম্পাদন হবে না। যতক্ষণ না সুফিয়ানী সৈন্যবাহিনী নিয়ে প্রাচ্যে না পৌঁছে। ( হাদীসের শেষ অংশ উল্লেখ করা হয়েছে)
(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯১১)
কোন দল থেকে হারস হাররাস এর উত্থান হবে?
সাধারণ মধ্য এশিয়ার আমু নদীর ওপারের দেশগুলোতে যেমন উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাকিস্তান, পূর্ব তুর্কিস্থান (চীনের উইগুর অঞ্চল), রাশিয়ার চেচনিয়া, বসনিয়া এই দেশ গুলোতে কালো পতাকাবাহী তিনটি দল কাজ করছে।
শুয়াইব ইবনে সালেহ কে? তিনি কোন দল থেকে বের হবেন?
** হযরত মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়্যাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন বনু আব্বাসের একটি কালো ঝান্ডা বের হবে। অতপর খোরাসান থেকে আরেকটি কালো ঝান্ডা বের হবে। তাদের টুপি হবে কালো এবং তাদের পোষাক হবে সাদা। তাদের সম্মুখে একজন লোক থাকবে যাকে শুয়াইব ইবনে সালেহ ডাকা হবে এবং সে হবে তামিম গোত্রের । তারা সুফিয়ানীর সৈন্যদের পরাজিত করবে। এমনকি তারা বাইতুল মুকাদ্দাসে (ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে) অবস্থান নিবে। তারা মাহদীর রাজত্বের জন্য পথ সহজ ও প্রস্তুত করবে। আর সিরিয়া হতে ৩০০ লোক তার সাথে মিলিত হবে। তার বের হওয়া ও মাহদীর নিকট বিষয় সমর্পণ করার মধ্যে বাহাত্তর মাসের (৬ বছরের) ব্যবধান হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৮৯৪ ]
** হযরত সুফিয়ান কালবী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মাহদীর দলে এক কম বয়সী, পাতলা দাড়ি বিশিষ্ট, এবং হলুদ বর্ণের এক তরুন যুবক(শুয়াইব ইবনে সালেহ)বের হবে। আর ’ওয়ালীদ হলুদ বর্ণ’ উল্যেখ করেন নাই। যদি পাহাড়ের সাথে যুদ্ধ করে তাহলে পাহাড়কে কাপিয়ে দিবে। আর ওয়ালীদ বলেন ’ভেঙ্গে ফেলবে’।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯০২ ]
খোরাসানের বাহিনীর মূল নেতৃত্বে থাকবেন শুয়াইব ইবনে সালেহ নামের একজন ব্যক্তি, যিনি বনু তামীম গোত্রের লোক হবেন। তার চেহারা হবে হাঙ্গর মাছের মত অর্থাৎ লম্বা চেহারা। এবং তার গায়ের রঙ হবে পিতলের মত অর্থাৎ শ্যামল বর্নের। তিনিই মূলত সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে ইরানের ফার্স প্রদেশের ইস্তাখর প্রান্তের যুদ্ধে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের নেতৃত্ব দিবেন।
কোন দল থেকে শুয়াইব ইবনে সালেহ এর উত্থান হবে?
তাহলে আফগানিস্তানের তালেবানের ভূমিকা কি হবে?
এযাবৎ কাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের তালেবান মুজাহিদিন গন সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে সরাসরি জিহাদে লিপ্ত রয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ১০ বছর, আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধে ৫ বছর, আমরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৭ বছর যুদ্ধরত রয়েছে। তাদের হাত ধরেই মুজাহিদিন গন আফগানিস্তান থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ইয়েমেন, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, মালি, লিবিয়া, ইরাক, মিশর, সিরিয়া, পিলিপাইন, চেচনিয়া, ইস্ট তুর্কিস্থান, কাশ্মীর সহ পৃথিবীর সব জায়গায়। ইসলামের হারিয়ে যাওয়া জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ তাদের মাধ্যমেই আল্লাহ তায়ালা পুনর্জীবিত করেছেন।
যদিও তারা খোরাসানের ময়দানে কয়েকটিযুগ পর্যন্ত তারা জিহাদে অটল রয়েছে, কিন্তু খোরাসানের বাহিনী তারাই হবে, এরকম কোন সরাসরি হাদিস নেই। তবে তারা খোরাসানের বাহিনীকে সাহায্য সহযোগিতা করবে এরকম বর্ননা রয়েছে। যেমনঃ
** হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতপর তারা (সুফিয়ানী বাহিনী) কুফা (মসূল) শহরে প্রবেশ করবে। সেখানে মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশের (খলিফার অর্থাৎ Islamic state এর) অনুসারীদের হত্যা করবে। অতপর খোরাসানবাসী দের প্রত্যেক কে (সুফিয়ানী বাহিনী জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবে। তখন খোরাসানবাসী ইমাম মাহদীকে অনুসন্ধান করতে থাকবে। তার (ইমাম মাহদীর) জন্য দোয়া করতে থাকবে এবং তাকে সাহায্য সহযোগিতা করতে থাকবে। (হাদীসের শেষ অংশ উল্লেখ করা হয়েছে)
(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৮৮২)
খোরাসানের বাহিনীর বৈশিষ্ট্য সমূহঃ
খোরাসানের বাহিনীর আবির্ভাবের পূর্বে সর্বশেষ ইরাকের কুফা (মসূল) শহরে বড় ধরনের গনহত্যা সংগঠিত হবে?
হযরত আরতাত (রাঃ) বলেন,“সুফিয়ানি কুফায় (মসূল শহরে) প্রবেশ করবে। ৩ দিন পর্যন্ত সে দুশমনদের(Islamic state) বন্দীদেরকে সেখানে আটকে রাখবে এবং ৬০ হাজার কুফাবাসীকে(মসূল বাসী) হত্যা করে ফেলবে। তারপর সে ১৮ রাত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে তাদের (Islamic state) সম্পদগুলো বণ্টন করবে। তখন তাদের মধ্যে একদল খোরাসানে ফেরত যাবে। সুফিয়ানির সৈন্যবাহিনী আসবে এবং কুফার(মসূল) বিল্ডিংগুলো ধ্বংস করে সে খোরাসানবাসীদেরকে তালাশ করবে। খোরাসানে একটি দলের আবির্ভাব ঘটবে, যারা ইমাম মাহদীর দিকে আহ্বান করবে। অতঃপর মাহদী ও মানসুর উভয়ে কুফা(মসূল) থেকে পলায়ন করবে। সুফিয়ানি উভয়ের তালাশে সৈন্য প্রেরণ করবে। অতঃপর যখন মাহদী ও মানসুর পালিয়ে মক্কায় পৌঁছে যাবে, তখন সুফিয়ানীর বাহিনীকে ‘বায়দা’ নামক স্থানে মাটির নিচে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে। এরপর মাহদী মক্কা থেকে বের হয়ে মদিনায় যাবেন এবং ওখানে বনু হাশেমকে মুক্ত করবেন। এমন সময় কালো পতাকাবাহী লোকেরা এসে পানির(সমুদ্রে) উপর অবস্থান করবে। কুফায়(মসূল) অবস্থিত সুফিয়ানির লোকেরা কালো পতাকাবাহী দলের আগমনের কথা শুনে পলায়ন করবে। কুফার (মসূল) এর সম্মানিত লোকেরা বের হবে যাদেরকে ‘আসহাব’ বলা হয়ে থাকে, তাদের কাছে কিছু অস্ত্র শস্ত্রও থাকবে এবং তাদের মধ্যে বসরা’বাসীদের থেকে একজন লোক থাকবে। অতঃপর কুফা বাসী (মসূল শহরের লোকজন) সুফিয়ানির লোকদেরকে ধরে ফেলবে এবং কুফার যে সব লোক তাদের হাতে থাকবে, তাদেরকে মুক্ত করবে। পরিশেষে কালো পতাকাবাহী দল এসে মাহদির হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে”।
(আল ফিতানঃ ৮৯৩, মুহাক্কিক আহমদ ইবনে শুয়াইব এই হাদিসটির সনদকে ‘লাবাসা বিহা’ বা ‘বর্ণনাটি গ্রহণ করা যেতে পারে’ বলেছেন)
** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যখন সুফইয়ানী ফোরাত নদী পার হবে এবং এমন এক জায়গায় পৌছবে যার নাম হবে আকের কুফা (ইরাক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা)। আল্লাহ তা’আলা তার অন্তর থেকে ঈমানকে মুছে দিবেন। আর সেখানে একটি নদীর দিকে যে নদীর নাম হবে দাজীল (দাজলা নদী/Tigress River) । উক্ত নদীর নির্জন প্রান্তরে ৭০ হাজার তরবারীধারী(যোদ্ধা) লোককে সে হত্যা করবে। তখন তাদের ব্যতীত তাদের থেকে বেশী লোক থাকবে না। অতপর স্বর্ণের ঘরের (পাহাড়) উপর প্রকাশ পাবে। অতপর তারা যুদ্ধ করবে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে এবং মহিলাদের পেট চিড়বে বা ফাড়বে। তারা বলবে হয়তো সে কোন গোলাম ( Islamic state) কর্তৃক গর্ভবতী হয়েছে। আর দাজলার পাড়ে র্মারা (samrra city) এর দিকে কুরাইশ মহিলাদের (সুফিয়ানীর সমর্থনকারী শিয়াদের) নিকট সাহায্য কামনা করবে। সুফুনের (মসূল ও কিরকুক শহরের মধ্যবর্তী জায়গা) অধিবাসীদেরকে তারা ডাকবে যাতে তাদেরকে উঠিয়ে নেয় এবং যাতে তারা তাদেরকে মানুষের সাথে সাক্ষাত করাতে পারে। আর তারা বনু হাশেমের(Islamic state) উপর শত্রুতার কারণে তাদেরকে উঠাবে না। আর তোমরা বনু হাশেমের সাথে শত্রুতা পোষণ করিও না, কেননা তাদের বংশ থেকেই রহমতের নবী (সাঃ) আর তাদের থেকে জান্নাতে পাখি (হযরত জাফর ইবনে আবু তালেব রহঃ) হবে(জন্ম হয়েছে)।
হে মহিলাগন! তখন কি অবস্থা হবে যখন জাহান্নামের অন্ধকার গর্তসমূহে তোমাদেরকে নিক্ষেপ করবে যে গর্তগুলো থাকবে ফাসেকদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অতপর তাদের নিকট সাহায্য (খোরাসানের বাহিনী) আসবে। এমনকি তারা (খোরাসানের বাহিনী) সুফইয়ানীর সাথে যে সমস্ত মহিলা ও সন্তান সন্ততি আটক থাকবে তাদেরকে বাগদাদ ও কুফা (মসূল) থেকে উদ্ধার করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৮৮৫ ]
বনু হাশেমের কালো পতাকাবাহী দল (Islamic state) যখন সুফিয়ানীর তান্ডবের কারনে ইরাকের মসূল শহরে চুড়ান্ত ভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে, এবং সেখানে তাদের ৭০ হাজার সৈন্য বাহিনীকে হত্যা করা হবে, তারপরেই কেবল খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের উত্থান হবে।
সকল কালো পতাকাবাহী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হবে?
ইরাকের মসূল শহরে ইসলামিক ইস্টেট যখন চুড়ান্ত ভাবে ধ্বংসের সম্মুখীন হবে, তার পর অবশিষ্ট যত কালো পতাকাবাহী দল থাকবে সবগুলো পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হবে। এবং সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ইরানের ফার্স প্রদেশে ও ইরাকে যুদ্ধ করবে।
** হযরত আবু জা’ফর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন বনু হাশেম হতে এক যুবক(হারস হাররাস) বের হবে। যার ডান হাতের তালুতে খোরাসানের কালো ঝান্ডবাহী দলের বন্ধুত্ব থাকবে(অর্থাৎ সে কালো পতাকাবাহী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করবেন) তার মধ্যে একটি দলের ভিতর শুয়াইব ইবনে সালেহ থাকবে। সে সুফিয়ানীর সাথীদের সাথে যুদ্ধ করবে এবং তাদের পরাজিত করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯০১ ]
** হযরত তাবে’ (রহঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, খোরাসান হতে কালো ঝান্ডাবাহী দল বের হবে তখন তাদের সাথে (কয়েকটি) দূর্বল জাতি বের হবে, তারা সকলেই একত্র হবে। আল্লাহ তা’আলা তার সাহায্য দ্বারা শক্তিশালী করে দিবেন। তাদের পরপরই পশ্চিমাঞ্চলের অধিবাসীরা (Tuareg Militant) বের হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯০০ ]
** হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আমার ঘরের অধিবাসীদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি (হারস হাররাস) ৮টি ঝান্ডার মধ্যে বের হবে”।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৮৯৮ ]
তবে কোন কোন বর্ননায় ৯টি বা, ১২ টি দলকে ঐক্যবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। ঐ সকল সম্ভাব্য দলগুলো হল,
যেমনঃ
তাই যেসকল অতি উৎসাহী, দলকানা সমর্থকরা তালেবানকে মুরতাদ বলে, আল কায়দাকে মুরতাদ বলে, জিহাদের ইহুদী বলে বা, ইসলামিক ইস্টেটকে খারেজী, জাহান্নামের কুকুর বলে তাদের এখনই সাবধান হয়ে যাওয়া দরকার।
ইমাম মাহদীর বাহিনী যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে?
** হযরত জাফর সাদিক (রহঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, “ইমাম মাহদীর (বাহিনীর) বিরুদ্ধে ১৩ টি জাতি বা, শহর যুদ্ধ করবে এবং তিনিও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন” ।
এগুলো হলঃ
খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের সাথে ইরানের যুদ্ধ?
** হযরত যামরা ইবনে হাবীব (রহঃ) ও তার শাইখদের থেকে বর্ণিত যে তারা বলেন, সুফিয়ানী খোরাসানের আম্মাতুশ শিরকে(ইরানের ইস্পাহান শহর) ও পারস্যের (ইরানের) ভুমিতে তার সৈন্যবাহিনী ও অশ্বারোহী বাহিনী (ট্যাংক) বাহিনী পাঠাবে। অতপর পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা তাদের (ইরানের) সাথে বিদ্রোহ করবে। ফলে তারা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে এবং বিভিন্ন জায়গায় অনেক যুদ্ধ হবে। যখন তাদের মাঝে যুদ্ধ বিগ্রহ দীর্ঘস্থায়ী হবে তখন বনু হাশেমের এক ব্যক্তির (হারস হাররাস) নিকট বাইয়াত গ্রহন করবে। আর সে সেদিন পূর্বাঞ্চলের একেবারে শেষে থাকবে। অতপর সে খোরাসানবাসীদের নিয়ে বের হবে। উক্ত দলের সম্মুখে থাকবে বনু তামিমের আযাদকৃত গোলাম (শুয়াইব ইবনে সালেহ)। সে হবে হলুদ বর্ণের, পাতলা দাড়ি ওয়ালা।
(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯১৫)
** হযরত আবু জাফর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সুফিয়ানী বাগদাদ ও কুফা (মসূল) প্রবেশের পর তার সেনাবাহিনীকে দূরবর্তী অঞ্চলে (ভাগ ভাগ করে) পাঠিয়ে দিবেন। তার পাঠানো (সৈন্যবাহিনীর) একটি অংশ খোরাসান বাসিদের নদীর (কাস্পিয়ান সাগরের) তীরে পৌঁছে দিবেন। তখন প্রাচ্যবাসীরা (মধ্য এশিয়ার কালো পতাকাবাহী যোদ্ধারা) তাদেরকে যুদ্ধের জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানাবে। অতঃপর সুফিয়ানীর সৈন্যবাহিনী (প্রানের ভয়ে) কুফাতে (মসূল) শহরে ফিরে যাবে। তারপর সুফিয়ানী বনি উমাইয়া গোত্রের একজনের নেতৃত্বে বিস্তীর্ণ প্রস্তরময় ময়দানে ( ফার্স প্রদেশের ইস্তাখর নামক স্থানে) বিশাল একটি সৈন্যবাহিনী পাঠাবে। অতঃপর কুমুস (কোম শহর) , রি অঞ্চল (রাজধানী তেহরান) , খুমের জারিহ (তেহরানের পূর্বদিকের সারিহ শহরে) নামক স্থানে যুদ্ধ হবে। ঐ সময় সুফিয়ানী কুফা (মসূল) শহরের ও মদিনা বাসিদের হত্যার নির্দেশ দিবেন। এমনি সময় বনি হাশেম গোত্রের একজন যুবক (হারস হাররাস) সমস্ত মানুষদেরকে একত্রিত করার জন্য অনুমোদন করবেন এবং খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলকে (সাহায্যের জন্য) গ্রহন করবেন। তার ডান হাতে বড় তিলক থাকবে। আল্লাহ তায়ালা যুবকটির সমস্ত কাজ ও পথকে সহজ করে দিবেন। তারপর খোরাসানের সীমান্তে যুবকটিকে (প্রতিপক্ষ) আক্রমণ করবে। তখন তিনি রি নামক (তেহরানের পাশে দিয়ে) রাস্তা দিয়ে চলে যাবেন। তারপর বনি তামীম গোত্রের একব্যাক্তি যাকে আঞ্চলিক ভাষায় শুয়াইব ইবনে সালেহ বলা হবে, সে ইস্তাখর ময়দানে উমাইয়াদের (সুফিয়ানী বাহিনীর) দিকে (যুদ্ধের জন্য) বেড়িয়ে পরবে। তখন দুটি অংশের (দুটি রাষ্ট্রের) একটি একটি ভূখণ্ডে যুদ্ধ হবে এবং তাদের মধ্যে মারাত্নক যুদ্ধ বেধে যাবে। এমনকি অশ্বারোহী বাহিনীর রক্ত পায়ের গোড়ালির গিট পর্যন্ত জমে যাবে। তারপর বনি আদি গোত্রের একব্যাক্তির নেতৃত্বে সাজিস্তান থেকে বড় একটি সৈন্যদল এগিয়ে আসবে। আল্লাহ কিভাবে তাকে এবং তার সৈন্যদেরকে সাহায্য করবেন, তা প্রকাশ করবেন। তারপর (কালো পতাকাবাহী দল) রি নামক এলাকা (তেহরান) আক্রমণের পর মাদায়েন শহর (বাগদাদের নিকটবর্তী এলাকা) আক্রমণ করবে। সর্বশেষ আকের কুফা (ইরাক ও সিরিয়ার বর্ডারে) এলাকা আক্রমণ করে সবাইকে নিষ্কৃতি প্রদান করবেন। এরপর ঘোষণা দিয়ে বৃহৎ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হবে বাকিল (ফার্স প্রদেশের সিরাজ শহরে) নামক স্থানে। অতঃপর বিপুল সংখ্যক লোকদেরকে তারা বাছাই করতে বের হবে এবং কুফা (মসূল) ও বসরা (ইরাকের) লোকদেরকে সংঘবদ্ধ করবে। এমনকি ঐ সময় কুফা (মসূল) শহরে (সুফিয়ানীর নিকট) যেসব যুদ্ধবন্ধি থাকবে, তাদেরকে উদ্ধার করবে।
(আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯১৩)
সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে খোরাসানের বাহিনী কোথায় যুদ্ধ করবে?
** হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, যখন সুফইয়ানী ঘোড়া (সৈন্য) কূফার(মসূল শহরের) দিকে বের হবে। সে খোরাসানবাসী দের অনুসন্ধানের জন্য সৈন্য প্রেরণ করবে। আর এদিকে খোরাসানবাসীরা মাহদীর খোজে বের হবে। অতপর সে (হারস হাররাস) এবং হাশেমী ব্যক্তি(মাহদী) কালো পতাকা সহকারে যে পতাকাবাহী দলের সম্মুখভাগে থাকবেশুয়াইব ইবনে সালেহ। অতপর তার এবং সুফইয়ানীর দলের ইস্তাখাররা বাবের (ইরানের একটি প্রাচীন এলাকা) নিকট সাক্ষাৎ(যুদ্ধের জন্য মুখোমুখি) ঘটবে। অতপর তাদের মাঝে বড় একটি যুদ্ধ হবে এবং (খোরাসানের) কালো পতাকার প্রকাশ পাবে। এবং সুফিয়ানীর সাথী বা দল পালিয়ে যাবে। আর সে সময়ই মানুষ মাহদীর জন্য আকাঙ্খা করবে এবং তাকে ডাকবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯১২ ]
ইস্তাখর বাব শহরটি ইরানের দক্ষিণের ফার্স প্রদেশের (Fars province) একটি ঐতিহাসিক স্থান। আর এখানেই খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দলের সাথে সুফিয়ানীর চুড়ান্ত যুদ্ধ হবে। তখন সুফিয়ানী শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়ে মারাত্মক ধ্বংসের মুখোমুখি হবে।
সুফিয়ানীর কাছে পরাজিত হওয়া এবং মাহদীর মক্কায় পালিয়ে যাওয়াঃ
ইরানের ইস্তাখর নামক স্থানে সুফিয়ানী শোচনীয় ভাবে পরাজিত হওয়ার ১৮ মাস পরে উল্টো সুফিয়ানী খোরাসানের বাহিনীকে পরাজিত করবে। তখন ইমাম মাহদী ও মনসুর কুফা (মসূল) থেকে পালিয়ে মক্কায় চলে যাবে, আর শুয়াইব ইবনে সালেহ পালিয়ে বায়তুল মোকাদ্দাস চলে যাবে। শুয়াইব ইবনে সালেহ জেরুজালেমে মাহদীর জন্য ভালো একটি অবস্থান তৈরি করতে থাকবেন।
মূলত আল্লাহ তায়ালা মাহদীর উত্থানের জন্যই হয়তো তাদেরকে সাময়িক পরাজয় দান করবেন। যাতে করে নবুয়তের আদলে খিলাফত পুরো মুসলিম বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করা যায়। কোন কোন সময় পরাজয় বিজয়ের চেয়েও বেশি কিছু প্রদান করে থাকে। বস্তুত আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন সুনিপুণ কারিগর। (আলহামদুলিল্লাহ)
মদিনা শহরে সুফিয়ানীর ধ্বংস লীলা চালানো এবং সেখানে হত্যাকাণ্ডঃ
** হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) বর্ণিত তিনি বলেন, কূফায় (মসূল শহরে) ধ্বংসযজ্ঞ চালানের পর সুফিয়ানী ঐ ব্যক্তির (বানু কাল্ব গোত্রের তার সহযোগীর) নিকট পত্র লিখবে যে, তার সৈন্যদল নিয়ে কূফায় এসেছে। সে পত্রে তাকে হিজাজের (সৌদি আরবের) দিকে অগ্রসর হওয়ার আদেশ দিবে। ফলে সে মদীনার দিকে অগ্রসর হবে। অতপর সে কুরাইশের উপর অস্ত্র ধারণ করবে। অতপর তাদের থেকে ও অন্যান্যদের থেকে চাঁরশত লোককে হত্যা করবে। মহিলাদের পেট চিড়বে এবং শিশুদেরও হত্যা করবে। আর কুরাইশের দুইজন ব্যক্তিকে হত্যা করবে, একজন পুরূষ ও তার বোনকে। তাদেরকে মুহাম্মাদ ও ফাতেমা বলা হবে। এবং তাদেরকে মদীনার মসজিদের (মসজিদে নববীর) গেটে তাদের শুলে চড়ানো হবে (বা, তাদের মাথা ঝুলিয়ে রাখা হবে)।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯২২
বলা হয়ে থাকে, ৬৩ হিজরীতে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া যখন জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিল, তখন মদিনার বড় বড় সাহাবীরা তাকে মেনে নেয়নি, যার কারণে ইয়াজিদ মদিনা আক্রমণ করেছিল এবং সেখানে ১০০০ মানুষকে হত্যা করেছিল। পুরো মদিনা শহরকে ধ্বংসস্তুপে পরিনত করেছিল। আর সুফিয়ানী যখন মদিনা আক্রমণ করবে তখন মদিনার সকল মানুষ পালিয়ে চলে যাবে, যারা থাকবে তাদের সবাইকে হত্যা করা হবে। সুফিয়ানীর তান্ডব দেখে মনে হবে ইয়াজিদের মদিনা আক্রমণ ছিল সামান্য একটি বেত্রাঘাতের মত।
মাহদীর আবির্ভাব এবং বাইদার প্রান্তে মরুভূমিতে সুফিয়ানীর সৈন্যবাহিনী ধ্বসে যাওয়াঃ
** হযরত আমর ইবনে শু’আইব তিনি তার দাদা বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, (ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের বছর) “জুলকা’দা মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে দ্বন্দ ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ঘটনা ঘটবে। ফলে হজ্জ পালনকারীরা লুণ্ঠিত হবে এবং মিনায় যুদ্ধ সংগঠিত হবে। সেখানে ব্যাপক প্রানহানির ঘটনা ঘটবে এবং রক্তের স্রোত বয়ে যাবে। অবশেষে তাদের নেতা (হযরত মাহদী) পালিয়ে রুকন ও মাকামে ইব্রাহিমের মধ্যখানে চলে আসবে। তাঁর অনীহা সত্ত্বেও মানুষ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে। তাঁকে বলা হবে, আপনি যদি আমাদের থেকে বাইয়াত নিতে অস্বীকার করেন, তাহলে আমরা আপনার ঘাড় উড়িয়ে দিব। বদর যুদ্ধের সংখ্যার সমসংখ্যক (৩১৩ জন) মানুষ তাঁর হাতে বায়’আত গ্রহণ করবে। সেদিন যারা তার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে, আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবে”।
(মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৪৯)
** উম্মুল মুমিনিন হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, “জনৈক খলীফার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে করে বিরোধ সৃষ্টি হবে। তখন মদিনার একজন লোক পালিয়ে মক্কা চলে আসবে (এই আশঙ্কায় যে, পাছে মানুষ আমাকে খলীফার পদে অধিষ্ঠিত করে কিনা), মক্কার লোকেরা তাঁকে খুঁজে বের করে অনিচ্ছা সত্ত্বেও রুকুন এবং মাকামে ইব্রাহিমের মাঝামাঝি স্থানে বাইয়াত গ্রহণ করবে। বাইয়াতের খবর শুনে সিরিয়ার দিক থেকে এক বিশাল বাহিনী প্রেরিত হবে। মক্কা মদিনার মাঝামাঝি বায়দা নামক স্থানে এসে পৌঁছানোর পর এই বাহিনীটিকে ভূগর্ভে ধসিয়ে দেওয়া হবে। বাহিনী ধ্বসের সংবাদ শুনে সিরিয়ার ‘আবদাল’ (শ্রেষ্ঠ মুসলমানগণ) ও ইরাকের ‘আসাইব’ (সম্মানিত মুসলিম ব্যক্তিবর্গ) মক্কায় এসে তাঁর (ইমাম মাহদীর) নিকট বাইয়াত হবে। অতঃপর সিরিয়ার বনু কালব গোত্রের এক কুরায়শীর আবির্ভাব হবে। সিরিয়ার দিক থেকে সে বাহিনী প্রেরণ করবে। কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে পরাস্ত করবেন, যার ফলে তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। এটিই হল ‘কালবের যুদ্ধ’। যে ব্যক্তি কালবের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবে, সে ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে। তাঁরপর তিনি ধনভাণ্ডার খুলে দেবেন, মাল দৌলত বণ্টন করবেন এবং ইসলামকে বিশ্বময় খেলাফতের আদলে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন। এই অবস্থা অব্যাহত থাকবে সাত বছর কিংবা (বলেছেন) নয় বছর।”
(আল মু’জামুল আওসাত, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৫; মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস ৬৯৪০; ইবনে হিব্বান, হাদিস ৬৭৫৭; আল মু’জামুল কাবীর, হাদিস ৯৩১)
সুনির্দিষ্ট উপসংহারে না পৌঁছালেও একজন সচেতন মুসলিম হিসাবে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি থাকবে হাদিসে বর্ণিত মুসলিম ভূখণ্ডগুলোর প্রতিটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সর্বোপরি সামরিক পরিস্থিতির উপর। বিশেষ করে, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইরাক, ইয়েমেন, জর্দান, মিশর, লিবিয়া, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, পূর্ব তুর্কিস্থান সহ সকল মুসলিম ভূখণ্ডগুলোতে। যাতে আমরা গাফিলতির কারনে ভূল পথে চলে না যাই।
If you're thinking about building a barndominium in 2025, you're not alone. These barn-style homes…
A dead or drained car battery can be a frustrating issue, especially when you're in…
Dreaming of a tropical escape but want to explore on your own terms? If you’ve…
Teaching your child to share is one of the most valuable lessons they’ll learn in…
Old gasoline sitting in your garage or shed can pose serious risks to your health,…
If you’re a fan of anime and are curious about the stranger, more supernatural side…
View Comments
আল্লাহ আমাদেরকে ইমাম মাহাদী সহযোগী হিসেবে কবুল করে নিও,, আমিন।