অনুপ্রেরণামূলক হাদিস গুলো আপনাকে জীবনের যে কোনও ক্ষেত্রে বিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা পেতে সাহায্য করবে। সত্যি কথা বলতে, রাসুল (স:) এর প্রতিটি বাণীতেই অনুপ্রেরণার উৎস রয়েছে।
ইসলামিক জীবন ব্যবস্থা যেসব জিনিসের ওপর দাঁড়ানো, তার প্রধান একটি হল হযরত মোহাম্মদ (স:) এর বানী ও জীবনাচরন। নবীজীর জীবনাচরন ও বাণী গুলোই হাদিস। আল্লাহ রব্বুল আলামীনের বাণী – অর্থাৎ কুরআনকে বুঝতে হলে, এবং ইসলামের আদর্শে সঠিক ভাবে জীবন পরিচালনা করতে হলে হাদীস জানা ও চর্চা করার কোনও বিকল্প নেই।
আজ যে ৩০ অনুপ্রেরণামূলক হাদিস আপনার সামনে নিয়ে এসেছি – সেগুলো সততা, সাফল্য, ও নৈতিকতার সাথে জীবন যাপন করতে এবং যে কোনও অবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে আপনাকে অনুপ্রেরণা দেবে। তাহলে চলুন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নেতা ও মোটিভেটর হযত মোহাম্মদ (স:) এর বানী থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আসি।
০১. “যার দুটি দিন একই রকম কাটলো, সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। ”
– আল হাদিস
(অর্থাৎ, যে আজকের দিনটিকে গতকালের চেয়ে বেশি কাজে লাগাতে পারলো না, সে উন্নতি করতে পারলো না)
০২. ”তোমরা একে অন্যের প্রতি হিংসা করোনা , ঘৃণা বিদ্বেষ করোনা এবং একে অপরের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়োনা
– মুসলিম
০৩. “তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম, যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম। ”
– ইবনে মাজাহ
০৪. “আল্লাহ ততোক্ষণ বান্দাহর সাহায্য করেন, যতোক্ষণ সে তার ভাইকে সহযোগীতা করে।”
– সহীহ মুসলিম
০৫. “যে পবিত্র থাকতে চায় , তাকে আল্লাহ পবিত্র রাখেন।
– সহীহ বুখারী
০৬. “আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। ”
– বুখারী
০৭. “অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সবচেয়ে বড় জিহাদ। ”
– তিরমিযী
০৮. “যে জ্ঞান অর্জনের খোঁজে বের হয় , সে আল্লাহর পথে বের হয়।
– তিরমিযী
০৯. “কুরআনকে আঁকড়ে ধরলে কখনো বিপথগামী হবেনা।
– মিশকাত
১০. “প্রতিটি মানুষ তার কাজের সেই ফলই পাবে,যা সে নিয়্যত করেছে।”
– বুখারী
১১. “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম মানুষ তারাই,যাদের আচার আচরণ সবচেয়ে ভালো”
– বুখারী
১২. “অর্ধেকটা খেজুর দান করেও তোমরা নিজেদের জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারো। যদি তা-ও না থাকে, তবে সুন্দর করে কথা বলো”
– বুখারী
১৩. “এক ব্যক্তি রাসুল (স:) কে এসে বলল, আমাকে এমন কিছু শেখান যাতে আমি সুন্দর ভাবে জীবন কাটাতে পারি। কিন্তু এমন কঠিন কিছু নয়, যা আমি ভুলে যেতে পারি। রাসুল (স:) বল্লেন: রাগ করো না”
– আল হাদিস
১৪. “একজন মুসলিম যদি গাছ লাগায়, অথবা জমি চাষ করে – যেখান থেকে পশু ও পাখিরা খেতে পারে – তাহলে সে একটি সদকা করল”
– মুসলিম
১৫. “সব ধরনের দাগ দূর করার জন্য কিছু না কিছু আছে; মনের দাগ দূর করার জন্য আছে আল্লাহ্র স্মরণ”
– বুখারী
১৬. “কোন কাজগুলো সর্বোত্তম? – মানুষের মনে খুশির সৃষ্টি করা, ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়া, পঙ্গু ও অসুস্থদের সাহায্য করা, দু:খীদের দু:খকে হাল্কা করা, এবং আহতের যন্ত্রণাকে লাঘব করা”
– বুখারী
১৭. “তুমি যদি পূর্ণভাবে আল্লাহর ওপর ভরসা করো, যেমনটা করা উচিৎ, তাহলে তিনি অবশ্যই তোমার সব প্রয়োজন পূরণ করবেন, যেমনটা তিনি পাখিদের জন্য করেন। তারা ক্ষুধার্ত হয়ে বাসা থেকে বের হয়, কিন্তু ভরা পেট নিয়ে নীড়ে ফেরে”
– তিরমিযী
১৮. “আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকূলকে সৃষ্টি করার পর তাঁর আরশের ওপর লিখেছিলেন: নিশ্চই আমার দয়া আমার ক্রোধকে প্রশমিত করবে”
– বুখারী ও মুসলিম
১৯. “যারা তাঁর সৃষ্টির ওপর দয়া করবে না, আল্লাহ্ও তাদের ওপর দয়া করবেন না”
– আবু দাউদ ও তিরমিযী
২০. “তুমি তোমার হৃদয়কে সকাল থেকে রাত, ও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অন্যের ওপর হিংসা করা থেকে বিরত রাখো। – হে আমার উম্মত, এটি আমার আইনগুলোর একটি, এবং যে আমার আইনকে ভালোবাসে- সে আমাকেও অত্যন্ত ভালোবাসে”
– বুখারী
২১. “সব সময়ে সত্য বল – এমনকি যদিও তা অন্যদের কাছে কঠিন ও অপছন্দনীয় হয়”
– বায়হাকী
২২. “দয়া বিশ্বাসীর একটি চিহ্ন; যার দয়া নেই, তার মাঝে বিশ্বাস (ঈমান) নেই”
– মুসলিম
২৩. “যখন এমন কাউকে দেখবে যাকে তোমার চেয়ে বেশি সম্পদ ও সৌন্দর্য দেয়া হয়েছে, (তখন আফসোস করার বদলে) এমন মানুষের দিকে তাকাও যাকে কম দেয়া হয়েছে”
– মুসলিম
২৪. “নিশ্চই নিজের সন্তানকে উত্তম ব্যবহার শেখানো, গরিবকে শস্য দান করার চেয়েও উত্তম”
– মুসলিম
২৫. “দয়ালুর প্রতি আল্লাহ্ও দয়াশীল হন। তাই, পৃথিবীর মানুষের প্রতি দয়াশীল হও, তাহলে যিনি আসমানে আছেন – তিনি তোমার প্রতি দয়া দেখাবেন”
– আবু দাউদ, তিরমিযী
২৬. “অতিরিক্ত সম্পদের বোঝা কাঁধে নিয়ে সত্যিকার সুখের পথে হাঁটা মানুষের জন্য কঠিন”
– মুসলিম
২৭. “একবার এক লোক রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময়ে রাস্তার ওপর কষ্টদায়ক কাঁটা যুক্ত একটি ডাল পড়ে থাকতে দেখল। লোকটি কষ্টদায়ক বস্তুটি রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলল। আল্লাহ তাকে ধন্যবাদ দিলেন, এবং তার সব অপরাধ ক্ষমা করে দিলেন”
– বুখারী
২৮. “সত্যিকার জ্ঞানী কারা? – যারা তাদের জ্ঞানকে বাস্তবে কাজে লাগায়”
– বুখারী
২৯. “আল্লাহ্ আমার কাছে এই কথা প্রকাশ করেছেন যে, তোমাদের অবশ্যই বিনয়ী হতে হবে। কেউ কারও ওপর অহংকার করবে না, এবং কেউ কারও ওপর অত্যাচার করবে না”
– মুসলিম
৩০. “কোন মানুষটি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়? – যার মাধ্যমে আল্লাহ্র অন্য সৃষ্টিকূল উপকৃত হয়”
– বুখারী
আগেই বলেছি, পৃথিবীতে যত অনুপ্রেরণার উৎস আছে, তার মাঝে রাসুল (স:) এর হাদিস অন্যতম উৎস। এই হাদিসগুলো আপনাকে সব সময়ে মন্দ কাজ থেকে দূরে থাকতে, এবং ভালো কাজ করতে অনুপ্রেরণা দেবে। তার পাশাপাশি যে কোনও অবস্থাতে আশাবাদী হতে ও নিজের লক্ষ্য পূরণের পথে কাজ করে যাওয়ার উৎসাহ দেবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
পোস্টটির ব্যাপারে আপনার যে কোনও মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানান। আপনার যে কোনও মতামতই আমাদের জন্য অমূল্য।
If you're thinking about building a barndominium in 2025, you're not alone. These barn-style homes…
A dead or drained car battery can be a frustrating issue, especially when you're in…
Dreaming of a tropical escape but want to explore on your own terms? If you’ve…
Teaching your child to share is one of the most valuable lessons they’ll learn in…
Old gasoline sitting in your garage or shed can pose serious risks to your health,…
If you’re a fan of anime and are curious about the stranger, more supernatural side…