পায়খানায় প্রবেশ করার সময় এই দোয়া পড়ুনঃ
দোয়া পড়ে প্রবেশ করা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, নোংরা জায়গাগুলো জ্বিন ও শয়তানদের থাকার জায়গা। অতএব তোমাদের মধ্যে কেউ যখন প্রসাব-পায়খানায় যায়, সে যেন এই দোয়া বলে-
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨُﺒْﺚِ ﻭَﺍﻟْﺨَﺒَﺎﺋِﺚِ .
(ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ/ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻯ ﻭﻣﺴﻠﻢ ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ )
“আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল খুবুসি অল্ খাবায়িস।”
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুষ্ট পুরুষ জ্বিন ও দুষ্ট নারী জ্বিনের অনিষ্ট থেকে।
(সহীহ হাদিস্ , সহীহ বোখারী ও সহীহ মুসলিম)
# বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা আর পায়খানা হতে বের হওয়ার সময় ডান পা দিয়ে বের হওয়া। (ইবনে মাজাহ, তিরমিযী)
# অতি প্রয়োজনীয় ব্যতীত কথাবার্তা না বলা। তেমনি ভাবে আল্লাহর নাম মখে উচ্চারণ না করা।
(মুসলিম, আবুদাউদ, তিরমিযী) একদা একলোক রাসূল (স:) ইস্তিনজা করত: আবস্থায় সালাম করে, রাসূল (স:)
এর উত্তর দেননি, অথচ সালামের উত্তর দেয়া ফরজ। এ থেকে বুঝা যায়, ইস্তিনজা করত: আবস্থায় চুপ থাকা।
# কোন প্রস্রাবের ছিটা যেন শরীওে না পড়ে সে ব্যাপারে অতি সতর্ক থাকা। কারণ হাদীস
শরীফে আছে,
ﺗَﻨَﺰَّﻫُﻮﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺒَﻮْﻝِ ؛ ﻓَﺈِﻥَّ ﻋَﺎﻣَّﺔَ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺒَﻮْﻝِ
“প্রসাবের ফোটা থেকে বাচ, কেননা অধিকাংশ কবরের আযাব হয় প্রস্রাবের কারণে।” (আদ- দারকুতনী)
# টয়লেট থেকে বাহির হওয়ার সময় পড়ার দোয়াঃ
1. ﻏَُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ .
(ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ/ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻯ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ﻭﺍﺑﻦ
ﻣﺎﺟﻪ ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ )
“গুফরানাক”
অর্থ, আমি আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।
{হাদিস্ সহীহ / আবু দাউদ, তিরমিযি, নাসায়ী, ইবনে
মাজাহ}
2. ﺍَﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﺫْﻫَﺐَ ﻋَﻨِّﻲ ﺍﻷَﺫَﻯ ﻭَﻋَﺎﻓَﺎﻧِﻲ .
(ﺣﺪﻳﺚ ﺿﻌﻴﻒ / ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻨﻪ)
“আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি আযহাব আন্নি আযা ওয়া ফানী”
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি কষ্টকর জিনিস আমার থেকে বে করিয় দিয়েছেন এবং আমাকে নিরাপত্তা দান করিয়াছেন।
{হাদিস্ জঈফ / আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ}
উল্লেখ্য দোয়ার ক্ষেত্রে হাদিস জঈফ হলেও আমল করেতে পারবেন, কারণ প্রার্থনা আপনি যে কোন শব্দ দিয়ে করতে পারেন, যদি শব্দগুলিতে শিরক না থাকে।
# প্রসাবের পর সন্দেহের উদ্রেক হলে: প্রসাব কারার পর যদি মনে হয় প্রাস্রাবের ফোটা বের হচ্ছে তাহলে কাপড়ের উপর দিয়ে পনি ছিটায় দেয়া। কারণ রাসূল স: থেকে বর্ণিত, « ﺑَﺎﻝَ ﺛﻢ ﻧَﻀﺢَ ﻓَﺮْﺟَﻪ »
অর্থাত্ “লজ্জাস্থানে উপরে পানি ছিটকাইয়ে ভিজিয়ে দিতেন।” (আবু দাউদ) প্রস্রাব বের হচ্ছে মনে করে লজ্জাস্থানে কুলুখ ধরে মানুষের সামনে বিভিন্ন ভঙ্গিতে হাঁটা-চলা, উঠানাম ও পুরুষাঙ্গ ধরে টানা হিঁচড়া করা, গলা খেঁখড়ানী দেয়া, চল্লিশ কদম হাটা, পায়ের উপর পা দিয়ে বসা এসবই বিদাত।
বি:দ্র: উপরোক্ত বিষয়গুলির শুধু মূল বক্তব্যগুলি আনা হয়েছে। সবগুলি মাস’আলা “ফিকহুস সুন্নাহ” থেকে নেয়া।