আমরা এখন মালহামা/বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি যা মহানবী (সাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। আপনাদের যদি আখেরী জামানা সম্পর্কে কোন জ্ঞান না থাকে, তাহলে আপনারা সকালের ট্র্যাফিকের মুখোমুখি হয়ে কাজে যাবেন বিকেলের ট্র্যাফিকের মুখোমুখি হয়ে আবার বাসায় ফিরবেন
রাতে বিরিয়ানি খাবেন,
তারপর টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়বেন…
অথচ আপনাদের কোন ধারনাই থাকবে না যে, আপনারা মালহামা/ বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন। এবং বর্তমান বিশ্বের আলেম-ওলামাদেরও ঐ একই অবস্থা (বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতা এবং আমরা যে একটি বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি সে সম্পর্কে কোন ধারনা নেই), এবং এ ধরনের কথা বলা আমার জন্য খুবই দুঃখজনক।
যখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে; মুসলিম হিসেবে এ বিশ্বযুদ্ধে আমাদের কোন ভূমিকা থাকবে না, কেননা আমাদের কোন পারমানবিক অস্ত্র নেই। যখন সব নিওক্লিয়ার বোমা বিস্ফোরিত হবে তখন দোখান (ধোঁয়া-আখেরী জামানার ১০টি বড় আলামতের একটি) সৃষ্টি হবে। মানবজাতির অধিকাংশই তখন মারা যাবে। হয়তো (ফেরেশাতারা) উপর থেকে বলবেন মানবজাতির অধিকাংশ মারা যাওয়াটাই উচিত… (আমাদের অজ্ঞতার / অবাধ্যতার কারনে) ।
ইসরাঈল দিন গুনছে, এই ধ্বংসাবশেষ থেকে বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করা তার জন্য সহজ হবে। এবং ইসরাঈল এর জন্য খুব সুবিধা হবে যদি দুই সুপারপাওয়ার [ন্যাটো-(যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, তুর্কি) এবং রাশিয়ান এলায়ান্স- (রাশিয়া, চীন, ইরান, সিরিয়া)] একে অপরকে ধ্বংস করে ফেলে।
আল্লামা ইমরান নযর হোসেন
অনুবাদ- দ্বীনুজ্জামান চৌধুরী
১০মে, ২০১৪, মালয়শিয়া।