বর্ণনায় সাকীফ গোত্রের জনৈক কবি জ্বিনঃ একবার আমি আবদুল মালিক বিন মারওয়ানের মহলের দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় তাঁর কাছে হযরত উসমান (রাঃ)-এর নিম্নতম পুরুষদের এসে বলেন, হে আমীরুল মুমেনীন! আজ আমি বড়ই আশ্চর্য এক ঘটনা দেখেছি।
কী দেখেছ তুমি?
আমি শিকারে বের হয়েছিলাম। এবং শিকার করতে করতে এক তৃণলতা পানি বিহীন বিরান ময়দানে পৌঁছে যাই। যেখানে এমন এক বুড়ো দেখি, যার ভ্রুর চুল চোখে এসে পড়েছে। এবং লাঠিতে ভর দিয়ে রয়েছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, চাচাজী, আপনি কে? সে বলে, নিজের চরকায় তেল দাও। অনর্থক কৌতূহল দেখিও না হে! আমি বলি, তুমি তো আরবদের কবিতাও উল্লেখ করছ! সে বলে হ্যাঁ, আমি আরবদের মত কবিতা বলি। বললাম, কই তোমার কবিতা একটু শোনাও তো দেখি। সে তখন আবৃতি করল-
اقول ولنجم قد مالت أواخره الي المغيب تبين حاره
المسحة من نسابرق راي مصيري ام وجه نعم بدالي ام سنانار
بل وجه نعم بدا والليل معتكر ـ ولاح بين اثواب واستار
আমি বললাম, চাচাজী, এ কবিতা তো নাবিগাহ বিন যিবইয়ানের! আপনার অনেক আগেই তিনি এ কবিতা বানিয়েছেন! আমার কথা শুনে বুড়ো হাসতে হাসতে বলে, আল্লাহর কসম! আবূ হাদির (নাবিগাহর উপনাম) উস্তাদের (অর্থাৎ আমার) থেকে কবিতা শিখে বলত। এরপর সেই বুড়ো আমার ঘোড়ার ঘাড়ে হেলান দিয়ে বলে, তুমি আমাকে ছেলেবেলার কথা স্মরণ করিয়ে দিলে। আল্লাহর কসম! এই কবিতাটি আমি রচনা করেছিলাম চারশ বছর আগে। তারপর আমি মাটির দিকে তাকিয়ে দেখি, সেই বুড়োর কোনও নাম-নিশানাই নেই।
3 responses to “চারশ বছরের কবি জ্বীন”
awesome ???
awesome ???
খুব ভালো লাগলো