হযরত শায়খ আবদুল কাদীর জীলানী (রহঃ) হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে তাঁর সঙ্গে মুরিদরাও রওয়ানা হন। সেই সফরে তাঁরা যখনই কোনও মঞ্জিলে যাত্রা-বিরতি দিতেন, তাঁদের কাছে সাদা পোষাক পরিহিত এক যুবক হাজির হত। কিন্তু সে তাঁদের সাথে কোন কিছুই খাওয়া-দাওয়া করত না। বড়পীর হজরত আবদুল কাদির জীলানী (রহঃ) আপন মুরিদদের নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন যে, তাঁরা যেন ওই যুবকের সাথে কোন কথা না বলেন।
এভাবে যেতে যেতে তাঁরা এক সময় মক্কা শরীফে গিয়ে প্রবেশ করলেন এবং একটি বাড়িতে উঠলেন।
কিন্তু তাঁরা যখন বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন সেই সময় যুবকটি ঢুকত এবং তাঁরা বাড়ীতে ঢোকার সময় যুবকটি বের হয়ে যেত।
একবার সবাই বের হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু একজন তখনও থেকে গিয়েছিলেন পায়খানায়। সেই সময় সেই যুবক জ্বিনটি প্রবেশ করে। তাকে তখন কেউ দেখতে পায়নি। সে ঘরে ঢুকে একটা থলি খুলে গোবর-নাদি বের করে খেতে শুরু করে। সে সময় পায়খানা থেকে যাওয়া-মুরিদ ওই ঘরে প্রবেশ করে। এবং তিনি সেই জ্বিনকে দেখতে পান। তখন জ্বিনটি সেখান থেকে চলে যায় এবং এরপর আর কখনও তাঁদের কাছে আসেনি।
মুরিদটি এ ঘটনার কথা বড়পীর সাহেবের কাছে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ও ছিল সেইসব জ্বিনদের অন্তর্গত, যারা রাসূল (সাঃ)-এর মুখে পবিত্র কুরআন শুনেছিলেন এবং সাহাবী জ্বিন হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছিল।