অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে ইহরাম খোলা জায়েয, কিরান হজ্জের বৈধতা এবং কিরান হজ্জকারীর কেবল এক তাওয়াফ এক সাঈ করা প্রসঙ্গ


২৮৬০। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) … নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ এবং সালিম ইবনু আবদুল্লাহ উভয়ে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) এর সাথে কথা বললেন- যে বছর হাজ্জাজ ইবনু ইউসূফ আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিল। তারা উভয়ে বললেন, এ বছর হাজ্জ (হজ্জ) না করলে আপনার কি ক্ষতি আছে? কারন আমাদের আশংকা হচ্ছে- গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং আপনি বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন না। আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বললেন, যদি তা আমার ও বায়তুল্লাহ এর মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়ও তবে (অনুরূপ পরিস্থিতিতে) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করেছেন, আমিও তদ্রুপ করব।

কুরায়শ কাফিররা যখন তাঁর ও বায়তুল্লাহর মাঝে প্রতিবন্ধক হয়েছিল, এ সময় আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি উমরার নিয়্যত করলাম। অতঃপর তিনি রওনা হয়ে যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে পৌঁছে উমরার জন্য তালবিয়া পাঠ করলেন। অতঃপর বললেন, যদি আমার পথ উন্মুক্ত থাকে, তবে আমি উমরা পূর্ণ করব। আর যদি আমার ও বায়তুল্লাহ এর মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, তবে (অনুরূপ পরিস্থিতিতে) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করেছেন আমিও তাই করব। সে সময় আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ “তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ” (সুরা আহযাবঃ ২১)।

তিনি আবার চলতে লাগলেন, যতক্ষন না বায়দার উপকণ্ঠে পৌঁছলেন। এখানে পৌছে তিনি বললেনঃ হাজ্জ (হজ্জ) ও উমরার বিধান একই। যদি আমার এবং উমরার মাঝে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, তবে আমার এবং হাজ্জের (হজ্জ) মাঝেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি যে, আমি আমার উমরার সাথে হাজ্জ (হজ্জ)কেও বাধ্যতামূলক করে নিলাম। অতঃপর তিনি অগ্রসর হলেন এবং কুদায়দ নামক স্থানে পৌঁছে কুরবানীর পশু ক্রয় করলেন। অতঃপর হাজ্জ (হজ্জ) ও উমরা উভয়ের জন্য এক তাওয়াফ (সাত চক্কর) ও এক সাঈ (সাফা-মারওয়ার মাঝে সাতবার দৌড়) করলেন এবং ইহরাম খুললেন না, বরং হাজ্জ (হজ্জ) সমাপন করে কুরবানীর দিন উভয়ের ইহরাম খুললেন।

باب بَيَانِ جَوَازِ التَّحَلُّلِ بِالإِحْصَارِ وَجَوَازِ الْقِرَانِ ‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، – وَهُوَ الْقَطَّانُ – عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، كَلَّمَا عَبْدَ اللَّهِ حِينَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ لِقِتَالِ ابْنِ الزُّبَيْرِ قَالاَ لاَ يَضُرُّكَ أَنْ لاَ تَحُجَّ الْعَامَ فَإِنَّا نَخْشَى أَنْ يَكُونَ بَيْنَ النَّاسِ قِتَالٌ يُحَالُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْبَيْتِ قَالَ فَإِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَعَلْتُ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ حِينَ حَالَتْ كُفَّارُ قُرَيْشٍ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْبَيْتِ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً ‏.‏ فَانْطَلَقَ حَتَّى أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ فَلَبَّى بِالْعُمْرَةِ ثُمَّ قَالَ إِنْ خُلِّيَ سَبِيلِي قَضَيْتُ عُمْرَتِي وَإِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَعَلْتُ كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَعَهُ ‏.‏ ثُمَّ تَلاَ ‏(‏ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ‏)‏ ثُمَّ سَارَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِظَهْرِ الْبَيْدَاءِ قَالَ مَا أَمْرُهُمَا إِلاَّ وَاحِدٌ إِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَ الْعُمْرَةِ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَ الْحَجِّ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجَّةً مَعَ عُمْرَةٍ ‏.‏ فَانْطَلَقَ حَتَّى ابْتَاعَ بِقُدَيْدٍ هَدْيًا ثُمَّ طَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ لَمْ يَحِلَّ مِنْهُمَا حَتَّى حَلَّ مِنْهُمَا بِحَجَّةٍ يَوْمَ النَّحْرِ ‏.‏


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *