১১৪৩ পরিচ্ছেদঃ শিকার জন্তু এবং অনুরূপ কিছুর বিনিময়।
এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ হে মুমিনগণ! ইহরামে থাকাকালে তোমরা শিকার জন্তু হত্যা করো না, তোমাদের মধ্যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে উহা হত্যা করলে যা হত্যা করল এর বিনিময় হলো অনুরূপ গৃহপালিত জন্তু, যার ফয়সালা করবে তোমাদের মধ্যে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোক কা’বাতে প্রেরিতব্য কুরবানীরূপে অথবা তার কাফফারা হবে দরিদ্রকে খাদ্য দান করা কিংবা সমসংখ্যক সিয়াম পালন করা যাতে সে আপন কৃতকর্মের ফল ভোগ করে। যা গত হয়েছে আল্লাহ ক্ষমা করেছেন কেউ তা পুনরায় করলে আল্লাহ তার শাস্তি দিবেন এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী শাস্তিদাতা। তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও তা ভক্ষণ হালাল করা হয়েছে তোমাদের ও (পর্যটকদের) ভোগের জন্য এবং তোমরা যতক্ষণ ইহরামে থাকবে ততক্ষণ স্থলের শিকার তোমাদের জন্য হারাম। আল্লাহকে ভয় কর তার নিকট তোমাদের কে একত্র করা হবে। (৫ঃ ৯৫–৯৬)
১৭০৪। মু’আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) … ‘আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা হুদায়বিয়ার বছর (শত্রুদের তথ্য অনুসন্ধানের জন্য) বের হলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগন ইহরাম বাঁধলেন কিন্তু তিনি ইহরাম বাঁধলেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলা হল, একটি শত্রুদল তাঁর সাথে যুদ্ধ করতে চায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন। এ সময় আমি তাঁর সাবীদের সাথে ছিলাম। হঠাৎ দেখি যে, তারা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হাসাহাসি করছে। আমি তাকাতেই একটি জংলী গাধা দেখতে পেলাম। অমনি আমি বর্শা দিয়ে আক্রমন করে তাঁকে ধরাশায়ী করে ফেলি। সঙ্গীদের নিকট সহযোগীতা কামনা করলে সকলে আমাকে সহযোগীতা করতে অস্বীকার করল। এরপর আমরা সকলেই ঐ জংলী গাধার গোশত খেলাম। এতে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার আশংকা করলাম। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারীম এর সন্ধানে আমার ঘোড়াটিকে কখনো দ্রুত কখোন আস্তে চালাচ্ছিলাম।
মাঝরাতের দিকে গিফার গোত্রের এক লোকের সাথে সাক্ষাৎ হলে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কোথায় রেখে এসে এসেছ? সে বললো তা’হিন নামক স্থানে আমি তাঁকে রেখে এসেছি। এখন তিনি সুকয়া নামক স্থানে কায়লূলায় (দুপুরের বিশ্রামে) আছেন। আমি বললাম হে , আল্লাহর রাসূল! আপনার সাহাবীগন আপনার প্রতি সালাম পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। তারা আপনার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা করছে। তাই আপনি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর আমি পুনরায় বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একটি বন্য গাধা শিকার করেছি। এখনো তাঁর বাকি অংশটুকু আমার কাছে রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাওমের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা খাও। অথচ তারা সকলেই তখন ইহরাম অবস্থায় ছিলেন।
باب إِذَا صَادَ الْحَلاَلُ فَأَهْدَى لِلْمُحْرِمِ الصَّيْدَ أَكَلَهُ وَلَمْ يَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَنَسٌ بِالذَّبْحِ بَأْسًا وَهُوَ غَيْرُ الصَّيْدِ نَحْوُ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ وَالْبَقَرِ وَالدَّجَاجِ وَالْخَيْلِ، يُقَالُ عَدْلُ ذَلِكَ مِثْلُ، فَإِذَا كُسِرَتْ عِدْلٌ فَهُوَ زِنَةُ ذَلِكَ. قِيَامًا قِوَامًا. يَعْدِلُونَ يَجْعَلُونَ عَدْلاً
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ انْطَلَقَ أَبِي عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ، وَلَمْ يُحْرِمْ، وَحُدِّثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عَدُوًّا يَغْزُوهُ، فَانْطَلَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم، فَبَيْنَمَا أَنَا مَعَ أَصْحَابِهِ يَضْحَكُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِحِمَارِ وَحْشٍ، فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ، فَطَعَنْتُهُ، فَأَثْبَتُّهُ، وَاسْتَعَنْتُ بِهِمْ، فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُونِي، فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ، وَخَشِينَا أَنْ نُقْتَطَعَ، فَطَلَبْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَرْفَعُ فَرَسِي شَأْوًا، وَأَسِيرُ شَأْوًا، فَلَقِيتُ رَجُلاً مِنْ بَنِي غِفَارٍ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ قُلْتُ أَيْنَ تَرَكْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَرَكْتُهُ بِتَعْهِنَ، وَهُوَ قَائِلٌ السُّقْيَا. فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَهْلَكَ يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلاَمَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ، إِنَّهُمْ قَدْ خَشُوا أَنْ يُقْتَطَعُوا دُونَكَ، فَانْتَظِرْهُمْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَصَبْتُ حِمَارَ وَحْشٍ، وَعِنْدِي مِنْهُ فَاضِلَةٌ. فَقَالَ لِلْقَوْمِ “ كُلُوا ” وَهُمْ مُحْرِمُونَ.