১১৩৬. মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) …. আবূ বাকর ইবনু আবূ জাহম (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এবং আবূ সালামা ইবনু আবদুর রহমান একদিন ফাতিমা বিনত কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহা এর কাছে এলাম। তিনি বর্ণনা করেন যে, তার স্বামী তাকে তিন তালাক দিয়েছিলেন। তার জন্য কোন বাসস্থান বা খোরপোষ নির্ধারণ করেনি। তিনি বলেন, অবশ্য আমার জন্য তার চাচাত ভাইয়ের কাছে দশ কাফীয (ঝুড়ি) রেখে দেন। এতে যব ছিল পাঁচ কাফীয আর গম ছিল পাঁচ কাফীয। তখন আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম এবং বিষয়টি তাঁর কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, সে (তার স্বামী) ঠিকই করেছে। অতঃপর তিনি আমাকে উম্মে শরীফের ঘরে ইদ্দত পালন করার নির্দেশ দেন। কিন্তু পরে আবার বললেন, উম্মে শরীফের ঘরটি তো এমন যেখানে মুহাজিরীনরা খুবই আসা যাওয়া করেন। বরঞ্চ তুমি ইবনু উম্মে মাকতুমের ঘরে ইদ্দত পালন কর। তোমার কাপড় খুলতে গেলে সে তোমাকে দেখতে পাবে না। (যেহেতু সে অন্ধ)। তোমার ইদ্দত যখন শেষ হবে তখন কেউ যদি তোমার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তবে তুমি আমার কাছে আসবে। পরে আমার ইদ্দত শেষ হলে আমার কাছে আবূ জাহম ও মুআবিয়া বিয়ের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলাম এবং তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করলাম। তিনি তখন বললেন, মুআবিয়া তো এমন ব্যক্তি যে, তার কোন ধন-সম্পদ নেই। আর আবূ জাহম তো স্ত্রীদের উপর খুবই কঠোর। ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তারপর আমার কাছে উসামা বিয়ের প্রস্তাব দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গে আমার বিয়ে দিয়ে দেন। আল্লাহ্ তা’আলা উসামাকে আমার জন্য বরকতময় করে দিলেন। – ইরওয়া ৬/২০৯, সহিহ আবু দাউদ ১৯৭৬, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। সুফইয়ান ছাওরী (রহঃ) এটিকে আবূ বাকর ইবনু আবূ জাহম (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এতে আরো অতিরিক্ত আছে যে, আমাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি উসামাকে বিয়ে করে নাও। মাহমূদ ইবনু গায়লান- ওয়াকী- সুফইয়ান-আবূ বাকর ইবনু জাহম (রহঃ) সূত্রে এ হাদীসটি আমার কাছে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ أَنْ لاَ يَخْطُبَ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الْجَهْمِ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَلَى فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ فَحَدَّثَتْنَا أَنَّ زَوْجَهَا طَلَّقَهَا ثَلاَثًا وَلَمْ يَجْعَلْ لَهَا سُكْنَى وَلاَ نَفَقَةً . قَالَتْ وَوَضَعَ لِي عَشَرَةَ أَقْفِزَةٍ عِنْدَ ابْنِ عَمٍّ لَهُ خَمْسَةً شَعِيرًا وَخَمْسَةً بُرًّا . قَالَتْ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ . قَالَتْ فَقَالَ ” صَدَقَ ” . قَالَتْ فَأَمَرَنِي أَنْ أَعْتَدَّ فِي بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ ثُمَّ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِنَّ بَيْتَ أُمِّ شَرِيكٍ بَيْتٌ يَغْشَاهُ الْمُهَاجِرُونَ وَلَكِنِ اعْتَدِّي فِي بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَعَسَى أَنْ تُلْقِي ثِيَابَكِ فَلاَ يَرَاكِ فَإِذَا انْقَضَتْ عِدَّتُكِ فَجَاءَ أَحَدٌ يَخْطُبُكِ فَآذِنِينِي ” . فَلَمَّا انْقَضَتْ عِدَّتِي خَطَبَنِي أَبُو جَهْمٍ وَمُعَاوِيَةُ . قَالَتْ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ” أَمَّا مُعَاوِيَةُ فَرَجُلٌ لاَ مَالَ لَهُ وَأَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَرَجُلٌ شَدِيدٌ عَلَى النِّسَاءِ ” . قَالَتْ فَخَطَبَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَتَزَوَّجَنِي فَبَارَكَ اللَّهُ لِي فِي أُسَامَةَ . هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الْجَهْمِ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ وَزَادَ فِيهِ فَقَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” انْكِحِي أُسَامَةَ ” .
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الْجَهْمِ بِهَذَا .