১৩২৫. মুহাম্মদ ইবনু আবদুল আ‘লা (রহঃ) …… আবদুল্লাহ ইবনু মাওহিব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু -কে বললেন, যাও, মানুষের মাঝে বিচার কার্য সম্পাদন কর। তিনি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন, আপনি আমাকে এই বিষয়ে ক্ষমা করবেন? উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তুমি এটা না পছন্দ করছ কেন? অথচ তোমার পিতা (উমার) তো বিচার করতেন। ইবনু উমার বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- কে বলতে শুনেছি যে, কেউ যদি বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হয় আর সে যদি ন্যায় ভাবেও বিচার কার্য সম্পাদন করে তবে সে বরাবর আমল নিয়ে ফিরে আসবে এটা তার জন্য একটি কঠিন ব্যাপার। সুতরাং এরপর আমি কি আশা করতে পারি? – মিশকাত – তাহকিক ছানী ৩৭৪৩, তা’লীকুর রাগীব ২/১৩২, তা’লীক আলা আহাদিস মুখতারাহ ৩৪৮, ৩৪৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩২২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই হাদীসে একটি কাহিনীও রয়েছে। এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত রয়েছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি গারীব। সনদটি আমার মতে মুত্তাসিল নয়। কেননা যে আবূল মালিক (রহঃ) থেকে এখানে মু‘তামির (রহঃ) রিওয়ায়েত করেছেন তিনি হলেন, আবদুল মালিক ইবনু আবূ জামীলা।
باب مَا جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقَاضِي
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، أَنَّ عُثْمَانَ، قَالَ لاِبْنِ عُمَرَ اذْهَبْ فَاقْضِ بَيْنَ النَّاسِ . قَالَ أَوَتُعَافِينِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ . قَالَ وَمَا تَكْرَهُ مِنْ ذَلِكَ وَقَدْ كَانَ أَبُوكَ يَقْضِي قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ مَنْ كَانَ قَاضِيًا فَقَضَى بِالْعَدْلِ فَبِالْحَرِيِّ أَنْ يَنْقَلِبَ مِنْهُ كَفَافًا ” . فَمَا أَرْجُو بَعْدَ ذَلِكَ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ عِنْدِي بِمُتَّصِلٍ . وَعَبْدُ الْمَلِكِ الَّذِي رَوَى عَنْهُ الْمُعْتَمِرُ هَذَا هُوَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ .