ইয়ামানের যমীনের হুকুম সম্পর্কে কি বলা আছে ইসলামে ।


৩০১৮. মুহাম্মদ ইবন আহমদ কুরাশী ও হারুন ইবন আবদিল্লাহ (রহঃ) …… আবইয়ায ইবন হাম্মাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি প্রতিনিধি দলের সাথে উপস্থিত থাকার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সাদাকার ব্যাপারে কথাবার্তা বলেন। তখন তিনি বলেনঃ হে সাবার ভ্রাতৃবৃন্দ! সাদাকা দেওয়া তো একটা জরুরী ব্যাপার। তখন সে বলেঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের উৎপাদিত শস্য তো কেবল তূলা। আর সাবা শহর তো এখন উজাড় হয়ে গেছে এবং তাদের মাত্র কয়েক ব্যক্তি সাবা শহরে মারিব নামক স্থানে বসবাস করেছে। অবশেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে প্রতি বছর মুআফির নামক স্থানের তাঁতীদের তৈরী কাপড়ের সমদামের সত্তর জোড়া দামী কাপড় রাজস্ব খাতে আদায় করার চুক্তিতে আবদ্ধ হন, যারা ‘সাবা’-ওয়ালাদের থেকে ‘মারিব’ নামক স্থানে অবশিষ্ট ছিল। যা তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইনতিকালের সময় পর্যন্ত সব সময় আদায় করতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের পর সাদাকা আদায়কারী প্রতিনিধিগণ ঐ চুক্তি লংঘন করেন, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবয়ায ইবন হাম্মালের সাথে সত্তর জোড়া কাপড় গ্রহণের ব্যাপারে করেছিলেন। পরে আবূ বকর (রাঃ) ঐ নির্দেশ ঐরূপে রাখার হুকুম দেন, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুকুম করেছিলেন। অবশেষে আবূ বাকর (রাঃ) ইনতিকাল করার পর ঐ চুক্তি বাতিল হয়ে যায় এবং নিয়মিত সাদাকা আদায় প্রথা চালু হয়।

باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ أَرْضِ الْيَمَنِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْقُرَشِيُّ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا فَرَجُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي، ثَابِتُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ، سَعِيدٍ – يَعْنِي ابْنَ أَبْيَضَ – عَنْ جَدِّهِ، أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ أَنَّهُ كَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّدَقَةِ حِينَ وَفَدَ عَلَيْهِ فَقَالَ ‏ “‏ يَا أَخَا سَبَإٍ لاَ بُدَّ مِنْ صَدَقَةٍ ‏”‏ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّمَا زَرْعُنَا الْقُطْنُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَقَدْ تَبَدَّدَتْ سَبَأٌ وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ إِلاَّ قَلِيلٌ بِمَأْرِبٍ ‏.‏ فَصَالَحَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى سَبْعِينَ حُلَّةِ بَزٍّ مِنْ قِيمَةِ وَفَاءِ بَزِّ الْمَعَافِرِ كُلَّ سَنَةٍ عَمَّنْ بَقِيَ مِنْ سَبَإٍ بِمَأْرِبَ فَلَمْ يَزَالُوا يُؤَدُّونَهَا حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّ الْعُمَّالَ انْتَقَضُوا عَلَيْهِمْ بَعْدَ قَبْضِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا صَالَحَ أَبْيَضُ بْنُ حَمَّالٍ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْحُلَلِ السَّبْعِينَ فَرَدَّ ذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى مَا وَضَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى مَاتَ أَبُو بَكْرٍ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو بَكْرٍ رضى الله عنه انْتَقَضَ ذَلِكَ وَصَارَتْ عَلَى الصَّدَقَةِ ‏.‏


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *