এই ১০টি লক্ষণে- সঠিক সময়ে ক্যানসারকে যদি চিহ্নিত করা যায়, এবং যথাযথ চিকিৎসার সুফল যদি মেলে তাহলে ক্যানসারকেও পরাজিত করা সম্ভব। এর জন্য দরকার ক্যানসারের উপসর্গ সম্পর্কে সচেতনতা। ক্যানসার নিঃসন্দেহে ম’রণ রোগ। কিন্তু সঠিক সময়ে ক্যানসারকে যদি চিহ্নিত করা যায়, এবং যথাযথ চিকিৎসার সুফল যদি মেলে তাহলে ক্যানসারকেও পরাজিত করা সম্ভব।এর জন্য দরকার ক্যানসারের উপসর্গ সম্পর্কে সচেতনতা। কোন কোন শারীরিক পরিবর্তন ক্যানসারের পূর্বাভাস দেয়? আসুন জেনে নিই, ‘জার্নাল অফ ক্যানসারে’ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে ডাক্তার রেণু ওয়াধা ও নূপুর নিগম কী জানাচ্ছেন—১. যদি চামড়ার নীচে কোনও মাংসের দলা দেখা দেয়: এটা বোঝা যায় খুব সহজেই। হাত দিয়ে স্পর্শ করে যদি শরীরের কোনও অংশে শক্ত মাংসের দলা অনুভব করেন তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের দ্বারস্থ হন।স্তন, অণ্ডকোষ, গলা, তলপেট কিংবা বগলের মতো জায়গাগুলোতে বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন।২. শরীরের কোনও অংশ যদি লাল হয়ে ফুলে যায় এবং চুলকানি দেখা দেয়: কোনও অংশে ক্যানসার দেখা দিলে সাধারণত শরীরের স্বাভাবিক প্রতিষেধক ক্ষ’মতার প্রতিক্রিয়ায় ওই অংশে র’ক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। স্বভাবতই ওই অংশ লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে, এবং সেখানে চুলকানিও দেখা দিতে পারে।৩. যদি শরীরের কোনও অংশের কোনও ঘা বা ক্ষত সারতে না চায়: দীর্ঘদিন ধরে যদি কোনও ঘা বা ক্ষত না সারে, তাহলে ডাক্তারের কাছে অবশ্যই যেতে হবে।
৪. যদি মুখের ভিতরে সাদা মুখওয়ালা কোনও গোটা দেখা দেয়: জ্বিহা, মুখের ভিতরের অংশ, কিংবা মাড়িতে যদি কোনও গোটা দেখা দেয় এবং সেটির মুখ যদি সাদা হয়, তাহলে কালবিলম্ব না করে ডাক্তারের কাছে চলে যান।
৫. হঠাৎ করে খিদে চলে যাওয়া: ক্যানসারের প্রভাবে শরীরে নিউট্রিয়েন্টস কমে যায়। পরিণামে খিদেও হ্রাস পায়।
৬. মলত্যাগের অভ্যাসে কোনও আকস্মিক পরিবর্তন কিংবা মলের সঙ্গে রক্তপাত।
৭. মূত্রত্যাগের অভ্যাসে কোনও পরিবর্তন: যদি মূত্রের রং, পরিমাণ বা গন্ধে কোনও লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আসে, কিংবা মূত্রের সঙ্গে রক্তপাত ঘটে, তা হলে তা ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।৮. ব্যাখ্যাহীন রক্তপাত: শরীরের কোনও অংশ থেকে (যেমন যোনি কিংবা স্তনবৃন্ত) যদি আকস্মিকভাবে কোনও সুস্পষ্ট কারণ ছাড়়াই রক্তপাত শুরু হয়ে যায়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৯. কন্ঠস্বরে আকস্মিক পরিবর্তন হওয়া।
১০. একটানা কাশি: যদি টানা দু’সপ্তাহের উপর কাশি থাকে, তবে তা গলা, ফুসফুস, খাদ্যনালী এমনকী পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
অনেক প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট নিজে পড়ুন অন্যকে পড়তে শেয়ার করে জানিয়ে দিন যদি কেউ মনে করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর সাথে আলোচনা করতে পারেন। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। ডিম্বাশয়ে সিস্ট (Cyst) হবার এই ৮টি লক্ষণ, যা প্রতিটি মেয়ের জানা দরকার প্রতিটি মহিলার ডিম্বাশয় ক্যান্সারের প্রাথমিক সতর্কতার লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত, কিন্তু তাদের অধিকাংশই ডিম্বাশয়ে সিস্ট শব্দটি সম্পর্কে কম সচেতন।একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আজকাল বিপজ্জনক পলিস্টিসিক ডিম্বাশয় রোগের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। যেহেতু অনেকে আছে, যারা এই অবস্থার সম্পর্কে সচেতন নাও হতে পারে, তাই আমরা এটা নিয়ে কিছু আলোচনা করবো। ডিম্বাশয়ে সিস্ট ঘটে যখন ডিম্বাশয় অসংখ্য সিস্ট দ্বারা গঠিত হয়। যদিও এই সিস্টের আকার বড় নয়,তবে সময়মত চিকিৎসা না করলে তারা বড় এবং বিপজ্জনক হতে পারে। রোগের গুরুতর পরিণতি রোধ করার জন্য আপানকে খুব ভালভাবে প্রাথমিক লক্ষণগুলিকে চিনতে হবে। প্রস্রাবের সময় অসুবিধা দেখা দিলে বা ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন হয়: এটির প্রভাব প্রধানত প্রস্রাবের উপর পরে, প্রস্রাবের সময় জ্বালা আনুভব হয়, ঘন ঘন প্রস্রাবেরও প্রয়োজন পরে।বেদনাদায়ক মাসিক বা অস্বাভাবিক র’ক্তক্ষরণ: এটির ফলে মহিলাদের মাসিকের সময় অত্যাধিক রক্তক্ষরণ হয় ও প্রজন্ড ব্যাথা দেখা দেয়। মিলনের সময় ব্যা’থা: সাধারণত কোন পুরুষের সঙ্গে মিলনে অসুবিধা হয়, মিলনের সময় যৌ’নাঙ্গে প্রচন্ড জ্বা’লা বা ব্যাথা অনুভব হয়।ক্রমাগত বমি করা বা বমি বমি ভাব: এটির ফলে ক্রমাগত গা-গুলাতে থাকে, বমি হতে পারে বা বমি বমি ভাব থাকতে পারে। হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি পাওয়া: কিছুদিনের মধ্যে হঠাৎ ওজন বেরে যাবার সম্ভাবনা থাকে। ক্ষু’ধা হ্রাস পায় বা খুব দ্রু’ত সম্পূর্ণ অনুভূতি হয়: এটির ফলে মহিলাদের ক্ষুধা হ্রাস পায় বা অল্প কিছু খেলেই যেন মনে হয় পেট ভর্তি হয়ে গেছে।নিম্ন ব্যাথা দ্রুত বৃদ্ধি পায়: এটির ফলে কোমর বা আশেপাশে ব্যা’থা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পেট ফু’লে যায় বা ব্যথা হয়: অস্বাভাবিকভাবে পেট ফু’লে যেতে থাকে ও মাঝে মধ্যেই ব্যাথা হতে পারে। যদি আপনি উপরের তালিকাভুক্ত কোন লক্ষণের সাক্ষী হন তবে তাদের উপেক্ষা করবেন না, কোন দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।