১৩৪৬. আলী ইবন হুসায়েন (রহঃ) …. যুরারাহ ইবন আওফ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আয়েশা (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের মধ্যরাত্রির নামায পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ তিনি ইশার নামায জামাআতে আদায়ের পর গৃহে আসতেন। অতঃপর তিনি চার রাকাআত নামায আদায় করে বিছানায় গমন করে ঘুমিয়ে পড়তেন। এ সময় উযুর পানির বদনা তাঁর শিয়রে ঢাকা অবস্থায় থাকত এবং মিসওয়াকও তাঁর পাশে থাকত। অতঃপর তিনি রাত্রির বিশেষ সময়ে আল্লাহ্র নির্দেশে জাগ্রত হয়ে মিসওয়াক করত ভালোভাবে উযু করতেন। পরে তিনি জায়নামাযে গমন করে আট রাকাত নামায আদায় করতেন। তিনি এই নামাযের রাকাআতসমুহে সূরা ফাতিহা এবং কুরআনের অন্য সূরা পাঠ করতেন, যা আল্লাহর ইচ্ছা হত এরূপ আরো আয়াত পাঠ করতেন।
তিনি এই আট রাকাত নামায আদায়কালে মাঝখানে না বসে শেষ রাকাতের পরে বসতেন এবং সালাম ফিরাবার পূর্বে দণ্ডায়মান হয়ে নবম রাকাত আদায় করে বসতেন। অতঃপর আল্লাহ্র ইচ্ছানুযায়ী দু’আ করতেন এবং তাঁর নিকট প্রার্থনা করতেন এবং তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পরিশেষে তিনি স্বশব্দে সালাম ফিরাতেন যার ফলে গৃহের লোকেরা জাগ্রত হবার উপক্রম হত। অতঃপর তিনি বসে দুই রাকাত নামায আদায় করতেন এবং এখানে সূরা ফাতেহা পাঠের পর বসাবস্থায় রুকূ করতেন, অতঃপর দ্বিতীয় রাকাত রুকূ ও সিজদার সাথে বসে আদায় করতেন। পরে তিনি আল্লাহ্র মর্জি অনুযায়ী দুআ করতঃ সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করতেন। তাঁর শরীর মোবারক ভারী ও দুর্বল হয়ে পড়লে তিনি নয় রাকাতের স্থলে দুই রাকাত বাদ দিয়ে ছয় এবং তার সাথে এক রাকাত যোগ করে সাত রাকাত আদায় করতেন এবং তাঁর ইন্তেকালের পূর্বে পর্যন্ত এরূপে নামায আদায় করতেন।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ الدِّرْهَمِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا زُرَارَةُ بْنُ أَوْفَى، : أَنَّ عَائِشَةَ، – رضى الله عنها – سُئِلَتْ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي جَوْفِ اللَّيْلِ، فَقَالَتْ : كَانَ يُصَلِّي صَلاَةَ الْعِشَاءِ فِي جَمَاعَةٍ، ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ فَيَرْكَعُ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، ثُمَّ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ وَيَنَامُ وَطَهُورُهُ مُغَطًّى عِنْدَ رَأْسِهِ، وَسِوَاكُهُ مَوْضُوعٌ حَتَّى يَبْعَثَهُ اللَّهُ سَاعَتَهُ الَّتِي يَبْعَثُهُ مِنَ اللَّيْلِ، فَيَتَسَوَّكُ وَيُسْبِغُ الْوُضُوءَ، ثُمَّ يَقُومُ إِلَى مُصَلاَّهُ فَيُصَلِّي ثَمَانِ رَكَعَاتٍ يَقْرَأُ فِيهِنَّ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ وَمَا شَاءَ اللَّهُ، وَلاَ يَقْعُدُ فِي شَىْءٍ مِنْهَا حَتَّى يَقْعُدَ فِي الثَّامِنَةِ، وَلاَ يُسَلِّمُ، وَيَقْرَأُ فِي التَّاسِعَةِ، ثُمَّ يَقْعُدُ فَيَدْعُو بِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَهُ، وَيَسْأَلُهُ وَيَرْغَبُ إِلَيْهِ وَيُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً شَدِيدَةً، يَكَادُ يُوقِظُ أَهْلَ الْبَيْتِ مِنْ شِدَّةِ تَسْلِيمِهِ، ثُمَّ يَقْرَأُ وَهُوَ قَاعِدٌ بِأُمِّ الْكِتَابِ، وَيَرْكَعُ وَهُوَ قَاعِدٌ، ثُمَّ يَقْرَأُ الثَّانِيَةَ فَيَرْكَعُ وَيَسْجُدُ وَهُوَ قَاعِدٌ، ثُمَّ يَدْعُو مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَ، ثُمَّ يُسَلِّمُ وَيَنْصَرِفُ، فَلَمْ تَزَلْ تِلْكَ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَّنَ فَنَقَصَ مِنَ التِّسْعِ ثِنْتَيْنِ، فَجَعَلَهَا إِلَى السِّتِّ وَالسَّبْعِ وَرَكْعَتَيْهِ وَهُوَ قَاعِدٌ حَتَّى قُبِضَ عَلَى ذَلِكَ .