৯৬৬(৫). ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মাদ আস-সাফফার (রহঃ) … আবদুর রহমান ইবনে রাফে ইবনে খাদীজ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তার মুয়াযিন তাড়াহুড়া করে (আগেভাগেই) আসরের নামাযের আযান দিলে তিনি তাকে ভর্ৎসনা করেন। তিনি বলেন, তোমার জন্য দুঃখ হয়, আমার পিতা আমাকে অবহিত করেছেন এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আসরের নামায বিলম্ব করে পড়ার নির্দেশ দিতেন।
এই হাদীস হারামী ইবনে উমারা (রহঃ) আবদুল ওয়াহেদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন। আবদুল ওয়াহেদ ইবনে নুফাঈ (রহঃ) বলেন, তার বংশপরিচয় সম্পর্কে মতবিরোধ আছে। এই হাদীসের সূত্র এই আবদুল ওয়াহেদ (রহঃ)-এর কারণে দুর্বল। কেননা তিনি এই হাদীস ইবনে রাফে ইবনে খাদীজ (রহঃ) ব্যতীত অন্যদের থেকে বর্ণনা করেননি। আর এই ইবনে রাফে (রহঃ)-এর নাম সম্পর্কে মতভেদ আছে। এই হাদীস রাফে (রাঃ) এবং অন্য সাহাবীদের সূত্রে সহীহ নয়। সহীহ হলো, এই হাদীস রাফে ইবনে খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অপরাপর সাহাবীর সূত্রে এর বিপরীত হাদীস বর্ণিত আছে। আর তা হলো, আসরের নামায ত্বরায় (প্রথম ওয়াক্তে) পড়তে হবে এবং তার তাকবীরও (আযান) দ্রুত দিবে। আর রাফে’ ইবনে খাদীজ (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি সহীহ।
بَابُ ذِكْرِ بَيَانِ الْمَوَاقِيتِ وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا بِهِ إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّفَّارُ ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الْوَرَّاقُ ، ثَنَا أَبُو سَلَمَةَ ، قَالَ : سَمِعْتُ عَبْدَ الْوَاحِدِ أَبَا الرِّمَاحِ الْكُلَاعِيَّ ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ ، وَأَذَّنَ مُؤَذِّنُهُ بِصَلَاةِ الْعَصْرِ ، فَكَأَنَّهُ عَجَّلَهَا ، فَلَامَهُ ، وَقَالَ : وَيْحَكَ ، أَخْبَرَنِي أَبِي – وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – كَانَ يَأْمُرُهُمْ بِتَأْخِيرِ الْعَصْرِ ” . وَرَوَاهُ حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ هَذَا ، وَقَالَ : عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ نُفَيْعٍ ، خَالَفَ فِي نَسَبِهِ ، وَهَذَا حَدِيثٌ ضَعِيفُ الْإِسْنَادِ مِنْ جِهَةِ عَبْدِ الْوَاحِدِ هَذَا ؛ لِأَنَّهُ لَمْ يَرْوِهِ عَنِ ابْنِ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ غَيْرُهُ ، وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي اسْمِ ابْنِ رَافِعٍ هَذَا ، وَلَا يَصِحُّ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ رَافِعٍ وَلَا عَنْ غَيْرِهِ مِنَ الصَّحَابَةِ ، وَالصَّحِيحُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ ، وَعَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – : ضِدُّ هَذَا ، وَهُوَ التَّعْجِيلُ بِصَلَاةِ الْعَصْرِ وَالتَّبْكِيرُ بِهَا فَأَمَّا الرِّوَايَةُ الصَّحِيحَةُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ