-
জান্নাতীদের খাদেম
জান্নাতীদের অতিরিক্ত সুখ-সুবিধায় রাখার জন্য মহান আল্লাহ তাদের খিদমত ও সেবার ব্যবস্থা রেখেছেন। তাদের জন্য চিরকিশোর গিলমান’ সৃষ্টি করে রেখেছেন জান্নাতে। তারাই ঘুরে-ফিরে তাদের প্রয়োজনীয় খিদমত করবে। অনেকে বলেন, সেই চিরকিশোরেরা হবে মুসলিমদের শিশুরা, যারা শিশু অবস্থায় মারা গেছে। অনেকের মতে, তারা হবে কাফেরদের শিশুরা। সেই সেবক কিশোরেরা আকারে-পোশাকে বড় সুন্দর হবে। তাদের কথা কুরআনে…
-
কেমন হবে জান্নাতের পশু-পক্ষী?
জান্নাতে পাখী আছে। সেই পাখীর মাংস জান্নাতীদের খাদ্য হবে। মহান আল্লাহ বলেন, وَلَحْمِ طَيْرٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ অর্থাৎ, (তাদের সেবায় ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা) তাদের পছন্দমত পাখীর মাংস নিয়ে। (ওয়াক্বিআহঃ ২১)। হাদীসে এসেছে, কাউসারের নিকট এমন পাখী আছে, যাদের গর্দান উটের মত। (তিরমিযী) আবু মাসউদ (রাঃ) বলেন, একটি লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে লাগামযুক্ত উটনী নিয়ে…
-
জান্নাতে বৃক্ষ-সংখ্যা বৃদ্ধি করার উপায়
পরিবেশ রক্ষা ও সুন্দর করার জন্য গাছ লাগানো একটি উত্তম কাজ। দুনিয়ায় গাছ লাগিয়ে আমরা পরিবেশকে মনোরম করতে পারি। আমরা গাছ থেকে অক্সিজেন পাই, ছায়া পাই, খাদ্য পাই, সুগন্ধ পাই। আমরা বলে থাকি, গাছ লাগান, গাছ বাঁচান। একটি গাছ, একটি প্রাণ। গাছ লাগিয়ে আমরা আমাদের বাড়ির বাগানকে সুন্দর করি। কিন্তু পরকালের বাড়িকে সুন্দর করার কথা…
-
জান্নাতের জ্যোতি, সুগন্ধি, বৃক্ষরাজি ও ফলমূল
জান্নাতের জ্যোতি জান্নাতে থাকবে নিরবচ্ছিন্ন আলো। সেখানে চন্দ্র-সূর্য নেই, রাত-দিন নেই। সূর্যের তাপ নেই। মহান আল্লাহ বলেন, وَأَنَّكَ لَا تَظْمَأُ فِيهَا وَلَا تَضْحَىٰ অর্থাৎ, সেখানে তুমি পিপাসার্ত হবে না এবং রোদ্র-ক্লিষ্টও হবে না। (ত্বাহাঃ ১১৯)। مُّتَّكِئِينَ فِيهَا عَلَى الْأَرَائِكِ ۖ لَا يَرَوْنَ فِيهَا شَمْسًا وَلَا زَمْهَرِيرًا অর্থাৎ, সেখানে তারা সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসবে, তারা…
-
জান্নাতের মাটি, নদীমালা, ঝরনাসমূহ, অট্টালিকা ও তাবুর বিবরণ
জান্নাতের মাটি জান্নাতের মাটি বিভিন্ন ধরনের হবে। কোথাও কস্তুরীর মত সুগন্ধময়। (বুখারী-মুসলিম)। আবার কোথাও জাফরানের মত। (আহমাদ, তিরমিযী, দারেমী)। আবার কোথাও হবে সাদা ধবধবে মিহি আটার মত। (মুসলিম, আহমাদ) জান্নাতের নদীমালা জান্নাত মানে বাগান। আর বাগানে অবশ্যই নদী প্রবাহিত থাকবে। প্রথমতঃ তার পানি পান করা যাবে। আর দ্বিতীয়তঃ তাতে বাগানের শোভা-সৌন্দর্য চিত্তাকর্ষী হবে। মহান আল্লাহ…
-
জান্নাতের উচ্চ স্থানসমূহ কাদের জন্য?
জান্নাতের উচ্চ স্থানসমূহ শহীদদের জন্য। সেই শহীদদের জন্য, যারা প্রথম কাতারে থেকে যুদ্ধ করেন। যারা শহীদ হওয়া পর্যন্ত পিছন ফিরে তাকান না। এঁদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে হাসেন। এঁরাই হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ শহীদ। এঁদের কোন হিসাব নেই। এঁদের জন্যই রয়েছে জান্নাতের উচ্চ উচ্চ স্থান। (আহমাদ, সঃ জামে’ ১১১৮নং) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, রাতে দু’জন লোক আমার…
-
জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান ‘অসীলাহ’
জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানের নাম অসীলাহ। যে স্থান সর্বোচ্চ মানুষের প্রাপ্য। আর তিনি হলেন আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)। তিনি বলেন, “মুআযযিনকে আযান দিতে শুনলে তোমরাও ওর মতই বল। অতঃপর আমার উপর দরূদ পাঠ কর; কেন না, যে ব্যক্তি আমার। উপর একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন। অতঃপর তোমরা আমার…
-
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন শ্রেণীর জান্নাতী
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “মূসা (আঃ) স্বীয় প্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘জান্নাতীদের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের জান্নাতী কে হবে? আল্লাহ তাআলা উত্তর দিলেন, সে হবে এমন একটি লোক, যে সমস্ত জান্নাতীগণ জান্নাতে প্রবেশ করার পর (সর্বশেষে) আসবে। তখন তাকে বলা হবে, তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলবে, হে প্রভু! আমি কিভাবে (কোথায়) প্রবেশ করব? অথচ সমস্ত লোক নিজ…
-
জান্নাতের বিভিন্ন স্তর বা শ্রেণীবিভাগ
জান্নাতের মাঝে বিভিন্ন স্তর আছে, বিভিন্ন শ্রেণী-বিভাগ আছে। সমস্ত জান্নাত সমান নয়, সকল জান্নাতীও সমশ্রেণীর নয়। জান্নাতীরা নিজ নিজ তাক্বওয়া ও আমল অনুযায়ী মান ও শ্রেণী লাভ করবে। বিভিন্ন জান্নাতীর দর্জাও ভিন্নতর হবে। উচ্চ মানের মুমিনরা উচ্চ শ্রেণীর দর্জা পাবে। মহান আল্লাহ বলেন, وَمَن يَأْتِهِ مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ الصَّالِحَاتِ فَأُولَٰئِكَ لَهُمُ الدَّرَجَاتُ الْعُلَىٰ অর্থাৎ, আর…
-
আটটি জান্নাতের নাম
কেউ কেউ আটটি জান্নাতের নাম উল্লেখ করলেও আসলে সে নামগুলি সকল জান্নাতেরই গুণবাচক নাম। অবশ্য কোন কোন জান্নাতের নাম স্পষ্টতঃ উল্লেখ হয়েছে। যার বিবরণ নিম্নরূপঃ ফিরদাউসঃ এ জান্নাত সম্বন্ধে মহান আল্লাহ বলেছেন, إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا (107) خَالِدِينَ فِيهَا لَا يَبْغُونَ عَنْهَا حِوَلًا (108) অর্থাৎ, নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে…