-
(সিজদায় হাত) বিছিয়ে দেয়া ও কাকের ন্যায় ঠোকর মারা নিষেধ
১৩৫৯. আব্দুর রহমান ইবনু শিবলি আল আনসারী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিংস্র জন্তুর মতো (কনুই পর্যন্ত দু’হাত) বিছিয়ে দিতে, কাকের মতো ঠোকর মারতে এবং উটের জায়গা নির্দিষ্ট করার ন্যায় (মসজিদে মধ্যে) কোনো লোকের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে নিতে নিষেধ করেছেন।[1][1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান, তামীম ইবনু মাহমূদের কারণে। তাখরীজ: আমরা…
-
মসজিদে সালাত পড়ার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করে নেয়া।
১/১৪২৯। আবদুর রহমান ইবনু শিবল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন: সালাতের সিজদায় কাকের মত ঠোকর মারতে, হিংস্র জন্তুর ন্যায় বাহুদ্বয় যমীনের উপর বিছিয়ে দিতে এবং (মসজিদে) কোন লোকের সালাত (নামায/নামাজ) পড়ার স্থান নির্দিষ্ট করে নিতে, যেমন উট আস্তাবলে স্থান নির্দিষ্ট করে নেয়।তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: নাসায়ী ১১১২,…
-
নামাযের ওয়াক্তসমূহ এবং এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনায় মতভেদ।
৯৬৬(৫). ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মাদ আস-সাফফার (রহঃ) … আবদুর রহমান ইবনে রাফে ইবনে খাদীজ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তার মুয়াযিন তাড়াহুড়া করে (আগেভাগেই) আসরের নামাযের আযান দিলে তিনি তাকে ভর্ৎসনা করেন। তিনি বলেন, তোমার জন্য দুঃখ হয়, আমার পিতা আমাকে অবহিত করেছেন এবং তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আসরের…
-
সালাতে হোক বা সালাতের বাহিরে, মসজিদে থুথু ফেলা নিষেধ।
১১১৬। উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয আল-আম্বারী (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু শিখখীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলাম। তাকে দেখতে পেলাম যে, তার কফ বের হলে তিনি জুতা দ্বারা তা ঘষে ফেললেন। ১১১৭। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু শিখখীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি…
-
নামাজরতদের সামনে দিয়ে চলাচলের বিধান ?
নামাজ পড়ার জন্য কোনো বস্তুর আড়ালে দাঁড়ালে তাকে সুতরা বলা হয়। সুতরা আরবি শব্দ। অর্থ পর্দা। নামাজের সময় দৃষ্টি রাখতে হয় দাঁড়ানো অবস্থায় সেজদার স্থানে, বসা অবস্থায় কোলে। সম্পূর্ণ মনোযোগ রাখতে হয় আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলির প্রতি। নামাজের সামনে দিয়ে মানুষ চলাচল করলে নামাজি ব্যক্তির কাঙ্ক্ষিত ধ্যান নষ্ট হয়। মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়। অনিচ্ছায় দৃষ্টি…
-
সিজদায় যাওয়ার সময় তাকবীর বলতে বলতে নত হতে হবে । এই বিষয় এ বিস্তারিত হাদিস টি পড়ে নিন ।
নাফি’ (র.) বলেন, ইবন উমর (রা.) সিজদায় যাওয়ার সময় হাঁটু রাখার আগে হাত রাখতেন। ৭৬৭। আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আবূ বকর ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) ও আবূ সালামা ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) রামযান মাসের সালাত (নামায/নামাজ) বা অন্য কোন সময়ের সালাত ফরয হোক বা অন্য কোন সালাত হোক, দাঁড়িয়ে…
-
নামাজে মনোযোগ ধরে রাখার কিছু উপায় । জানলে আপনার অনেক উপকার হবে ।
নিউজ ডেস্ক: হাদিসে প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজের সময় হলে সুন্দরভাবে ওজু করে এবং একাগ্রতার সঙ্গে সুন্দরভাবে রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করে, তার নামাজ আগের সব গুনাহর কাফফারা হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়। আর এ সুযোগ তার সারা জীবনের জন্য।’ (মুসলিম, হাদিস :…
-
সাহু সিজদা দেওয়ার নিয়ম কী?
সিজদাহ শব্দের অর্থ নত হওয়া, আর সাহু শব্দের অর্থ ভুল। সুতরাং সিজদায়ে সাহু অর্থ ভুলের কারণে সিজদাহ করা বা নত হওয়া। সাহু সিজদার নিয়ম বিষয়ে হাদিস ও ইমামগণের মতামত তুলে ধরা হলো হাদিসে রয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ (রা.) হতে বর্ণিত। রসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যখন কারও নামাজের ব্যাপারে সন্দেহ হবে, তখন তার…
-
নামাজে ভুল হলে পড়ে নিন সাহু সিজদা, নতুবা হবে না নামাজ
নামাজে যদি কোনও ওয়াজিব তরক হয়ে যায় তাহলে আপনাকে অবশ্যই সাহু সিজদা দিতে হবে। তা না হলে আপনার নামাজ হবে না। সাহু সিজদার এ মাসালাগুলো ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সিজদা সাহু করার সঠিক নিয়ম হচ্ছে – “সালাতে কম বেশি যাই হোক, আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ, দুয়া মাসুরা পড়ে তাকবীর দিয়ে পর পর দুটি সিজদাহ দিয়ে সালাম ফিরিয়ে…
-
হজরত মুসা (আ.)-এর রোজা কবে রাখতেন ?
রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। যুগে যুগে নবি রাসুলগণ রোজার বিধান পালন করেছেন। পৃথিবীর প্রথম রোজা পালন করেছেন আদি মানব হজরত আদম আলাইহিস সালাম। তারপর হজরত নুহ ও ইবরাহিম আলাইহিস সালাম রোজা পালন করেছেন। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের পর প্রসিদ্ধ নবি ও রাসুল ছিলেন হজরত মুসা আলাইহিস সালাম। কেমন ছিল তাঁর রোজা পালন? হজরত মুসা…